রাবিতে ছাত্রশিবিরের কোরআন বিতরণ কর্মসূচি
Published: 11th, March 2025 GMT
দুই হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন শরীফ বিতরণ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন শরীফ বিতরণ করেন তারা। এ সময় বিকল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে ‘রক্তধারা’ নাটক প্রদর্শিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সমাজ যখন সত্য ও ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা হারায়, তখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। আমাদের দায়িত্ব হলো নবী (সা.
আরো পড়ুন:
ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
অবরোধ-মানববন্ধনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যহত
তিনি বলেন, “শহীদরা ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন, যা আমাদের পথনির্দেশক। সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে হলে ত্যাগের বিকল্প নেই। আমরা কুরআনের আলোকে জীবন ও সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করছি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টে আমাদের হাজার হাজার ভাই শহীদ হয়েছেন, যার শুরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে সংখ্যা উল্লেখ না করাই শ্রেয়, যাতে অন্য শহীদদের অবমূল্যায়ন না হয়। ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার উন্নয়ন ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা। কেউ সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করলেও আমরা আদর্শের পথে অবিচল থাকব।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফায়সালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামীম হোসাইন প্রমুখ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম আদর শ ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু