Risingbd:
2025-09-18@02:32:05 GMT

‘জাবিয়ানদের সাথে গণইফতার’

Published: 11th, March 2025 GMT

‘জাবিয়ানদের সাথে গণইফতার’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘জাবিয়ানদের সাথে গণইফতার’ শীর্ষক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিতে হয়েছে। এতে শিক্ষক–শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় সহস্রাধিক রোজাদার অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে আয়োজক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আসরের নামাজের পর থেকেই ইফতারের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আসতে শুরু করে রোজাদাররা। ইফতার বণ্টনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। ইফতারে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক জায়গা বরাদ্দ ছিল।

আরো পড়ুন:

অবরোধ-মানববন্ধনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যহত

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী কণ্ঠ

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান বলেন, “ইফতার রমজানের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। একসঙ্গে ইফতারের মধ্যদিয়ে ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি পায়। ইফতারের সঙ্গে বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য ও জড়িত। আমরা সবাই পরিবার থেকে দূরে থাকি। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও লাঘব হবে এ গণইফতারের মধ্য দিয়ে।”

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “সিয়াম সাধনার মাস আমাদের বিনয়ী হতে শেখায়। আমাদের জীবনে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ মাসে আমরা মহান আল্লাহর ইবাদত করি। এ ধরনের গণইফতার কর্মসূচি আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকগুলো পজিটিভ পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করেছি। তার মধ্যে একটি হলো এ গণইফতার। পবিত্র রমজান মাস আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক হলসহ বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত গণইফতার কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করবে। ইসলামের একটি বড় শিক্ষা আমাদের নৈতিকতা বজায় রাখা। আমাদের সবার শুধু ইহকাল না, পরকালের কথা বিবেচনা করে জীবনযাপন করতে হবে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণইফত র ইফত র র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ