জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘জাবিয়ানদের সাথে গণইফতার’ শীর্ষক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিতে হয়েছে। এতে শিক্ষক–শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় সহস্রাধিক রোজাদার অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে আয়োজক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আসরের নামাজের পর থেকেই ইফতারের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আসতে শুরু করে রোজাদাররা। ইফতার বণ্টনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। ইফতারে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক জায়গা বরাদ্দ ছিল।
আরো পড়ুন:
অবরোধ-মানববন্ধনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যহত
ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী কণ্ঠ
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান বলেন, “ইফতার রমজানের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। একসঙ্গে ইফতারের মধ্যদিয়ে ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি পায়। ইফতারের সঙ্গে বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য ও জড়িত। আমরা সবাই পরিবার থেকে দূরে থাকি। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও লাঘব হবে এ গণইফতারের মধ্য দিয়ে।”
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “সিয়াম সাধনার মাস আমাদের বিনয়ী হতে শেখায়। আমাদের জীবনে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ মাসে আমরা মহান আল্লাহর ইবাদত করি। এ ধরনের গণইফতার কর্মসূচি আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকগুলো পজিটিভ পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করেছি। তার মধ্যে একটি হলো এ গণইফতার। পবিত্র রমজান মাস আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক হলসহ বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত গণইফতার কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করবে। ইসলামের একটি বড় শিক্ষা আমাদের নৈতিকতা বজায় রাখা। আমাদের সবার শুধু ইহকাল না, পরকালের কথা বিবেচনা করে জীবনযাপন করতে হবে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণইফত র ইফত র র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।