সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দিতে পারে; যা ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মনোযোগের অভাব ও হজমের সমস্যা তৈরি করে। তাই পানিশূন্যতা রোধে শুধু বেশি পানি পান করাই নয়, বরং কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।
স্মার্ট হাইড্রেশন প্ল্যান
সাধারণত আমরা ইফতার ও সাহ্রিতে দ্রুত পানি পান করি, যা শরীর ঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না। এক্ষেত্রে স্মার্ট হাইড্রেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন–
ইফতারের পর ৮ গ্লাস তরল: পানি, ডাবের পানি, স্যুপ বা হাইড্রেটিং ফলের জুস খেতে পারেন ।
তারাবির পর ৪ গ্লাস তরল: ধীরে ধীরে পানি পান করুন, যাতে শরীর যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারে।
সাহ্রিতে ২ গ্লাস তরল: অনেকেই সাহ্রিতে বেশি পানি পান করেন, যা কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বরং ইলেক্ট্রোলাইট-ব্যালান্সড পানীয় বা লবণ ও লেবুর হালকা পানি পান করুন।
হাইড্রেশন বুস্টার ফুড
পানি ছাড়াও কিছু খাবার পানিশূন্যতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন: চিয়া সিডস ১০-১২ গুণ পানি ধরে রাখতে পারে, যা ধীরে ধীরে শরীরকে আর্দ্র রাখে। তরমুজ, শসা ও কমলায় ৯০ শতাংশর বেশি পানি থাকে, যা দীর্ঘ সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
সাহ্রি ইলেক্ট্রোলাইট হ্যাক
সাহ্রিতে শুধু পানি নয়, বরং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ করুন। ১ গ্লাস পানিতে আধা চামচ লবণ, ১ চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি শরীরে দীর্ঘসময় পানি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ন শ ন যত প ন কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।