কারিগরি ক্ষতিতে বাড়ছে গ্যাস অপচয়
Published: 12th, March 2025 GMT
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চড়া দামে আমদানি করেও চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। অথচ কারিগরি ক্ষতির (সিস্টেম লস) নামে গ্যাস অপচয় বাড়ছে। অবৈধ সংযোগ, অনুমোদনের চেয়ে বেশি ব্যবহার ও পাইপলাইনে ছিদ্রের (লিকেজ) কারণে অপচয় হচ্ছে গ্যাস। এ জন্য গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা ও অদক্ষতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে কারিগরি ক্ষতির নামে গ্যাসের অপচয় হয়েছে ১৩৭ কোটি ঘনমিটার। প্রতি ইউনিট (ঘনমিটার) এলএনজি আমদানি ও সরবরাহে পেট্রোবাংলার খরচ ৭৯ টাকা ৩৪ পয়সা। এ হিসাবে গ্যাস অপচয়ের কারণে ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
৬ মাসে অপচয় ১৩৭ কোটি ঘনমিটার। প্রতি ইউনিট এলএনজি আমদানির খরচ ৭৯ টাকার বেশি, ক্ষতি ১০ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।আগের বছরের তুলনায় গত বছর কারিগরি ক্ষতি কিছুটা কমেছিল। চলতি অর্থবছরে ক্ষতি আবার বেড়েছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে গ্যাস অপচয় হয়েছে ২৬৪ কোটি ঘনমিটার, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩৯ কোটি ঘনমিটার। এ বছর ক্ষতি ৩০০ কোটি ঘনমিটারের কাছে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিইআরসির কর্মকর্তা ও জ্বালানিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইপলাইন ও সঞ্চালন লাইনে গ্যাস বের হওয়ার কথা নয়। তবে গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনে নানা কারণে ছিদ্র হতে পারে। আন্তর্জাতিক মান অনুসারে এতে সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ২০ থেকে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ গ্যাস অপচয় হতে পারে। অথচ দেশে সঞ্চালন ও বিতরণ—দুই লাইনেই গ্যাসের অপচয় হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) মো.
বাখরাবাদ ও তিতাসের অপচয় বেশি
গ্যাসক্ষেত্র ও এলএনজি টার্মিনাল থেকে বিতরণ সংস্থাকে গ্যাস সরবরাহ করে গ্যাস ট্রান্সমিশন পিএলসি লিমিটেড (জিটিসিএল)। ২০২০-২১ অর্থবছরে তাদের কারিগরি ক্ষতি ছিল ১ শতাংশের কম। ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্ষতি প্রথমবারের মতো ১ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। পরের বছর থেকে অপচয় ৩ শতাংশের বেশি। বিতরণ খাতের কারিগরি ক্ষতির একটা অংশ তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন জিটিসিএল কর্মকর্তারা।
গ্রাহকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করে ছয়টি বিতরণ সংস্থা। এর মধ্যে খুলনা-বরিশাল এলাকার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও সিরাজগঞ্জ-বগুড়া অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির কারিগরি ক্ষতি নেই। সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির কারিগরি ক্ষতি ১ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুনরোজার মাসেও ভোগাতে পারে গ্যাস–সংকট১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির কারিগরি ক্ষতি আগের বছর ৩ দশমিক ২১ শতাংশ থাকলেও এবার বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত বছর কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির ক্ষতি হয়েছিল ১০ শতাংশের বেশি। এবারও তাই। রাজধানী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সরবরাহকারী তিতাস গ্যাস কোম্পানির কারিগরি ক্ষতি গত বছর ছিল ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ বছর বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।
ছয়টি বিতরণ সংস্থাই বলছে, অবৈধ সংযোগ, পুরোনো পাইপলাইন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন ও পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় গ্যাসের অপচয় হয়। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অপচয় কমাতে পারছে না তিতাস।
এ বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো পাইপলাইনে ছিদ্র আছে। সরবরাহ বাড়লে অপচয়ও বাড়ে। আবার অবৈধ ব্যবহার হচ্ছে, শিল্পেও এটি হচ্ছে। অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে, এটি নিয়মিত চলছে। শিগগিরই গ্যাসের অপচয় কমবে।
আরও পড়ুনগ্যাসের দাম বাড়াতে ‘অবাস্তব’ আশ্বাস ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রকৃত অপচয় আরও বেশি
তিতাস সূত্র বলছে, প্রতি মাসে গড়ে ৭০০–এর বেশি অভিযোগ আসে। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক গ্যাস লিকেজের অভিযোগ। গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৯ হাজার ১৯১টি অভিযোগ এসেছে, যার মধ্যে গ্যাস লিকেজের অভিযোগ ৫ হাজার ৭৯৬টি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বলছে, ছিদ্র শনাক্ত করার কাজটি চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে অন্য বিতরণ কোম্পানিও করবে। বিশেষ করে কর্ণফুলী, তিতাস ও জালালাবাদ কোম্পানি বেশ পুরোনো পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস বিতরণ করছে।
আরও পড়ুনবিদ্যুৎ–গ্যাসে বকেয়া বেড়ে ৬৭ হাজার কোটি টাকা ২১ জানুয়ারি ২০২৫গৃহস্থালি রান্নায় ব্যবহৃত দুই চুলায় একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সর্বোচ্চ ৫০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। অথচ গ্রাহককে ৭৮ ঘনমিটার ধরে ৯৭৫ টাকা বিল দিতে হয়। এভাবে প্রতি গ্রাহক থেকে ২৮ ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়তি নেয় বিতরণ কোম্পানি। প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে এভাবে বাড়তি বিল নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি আয়ের টাকা কারিগরি ক্ষতির সঙ্গে সমন্বয় হয়। আবার শিল্পমালিকদের অভিযোগ, ইলেকট্রনিক ভলিউম ক্যারেক্টার (ইভিসি) মিটার বসালে শিল্পে গ্যাস বিল কমে আসবে। তাই বিতরণ কোম্পানি ইভিসি মিটার দিচ্ছে না। ইভিসি দিলে কারিগরি অপচয় চাপা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অপচয় কমাতে না পেরে শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়াতে চাচ্ছে পেট্রোবাংলা।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের প্রকৃত অপচয় আরও বেশি। আবাসিক গ্রাহকেরা মিটারের আওতায় এলে এটি বেড়ে যাবে। কারিগরি ক্ষতির দায় ভোক্তার ওপর চাপানো অন্যায় ও জ্বালানি সুবিচারের পরিপন্থী।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব তরণ ক ম প ন গ য স র অপচয় গ য স অপচয় অব ধ স য গ ব যবহ র ঘনম ট র সরবর হ র হক র গ র হক দশম ক প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ শতাংশ শুল্কে ভারতে যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ১ আগস্ট থেকে ভারতের রপ্তানি পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্তে ভারতের ইলেকট্রনিকস, জেনেরিক ওষুধ, গয়না ও অটো পার্টসসহ একাধিক খাত ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, ভারতের শুল্ক বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ এবং দেশটি সবচেয়ে কঠিন ও দুর্বিষহ প্রকৃতির বাণিজ্য–প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার যে চেষ্টা ভারত করে আসছিল, এই ঘোষণা তার জন্য বড় ধাক্কা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোয়াইট হাউস সফরের পর থেকেই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ ভূরাজনৈতিক কারণে তা এক রকম ভেস্তে গেল। প্রতিযোগীদের মধ্যে ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার জন্য ১৯ শতাংশ ও জাপানের জন্য ১৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি শুল্কহার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ভারতের মোট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ২০২৪ সালে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২৯ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৯২০ কোটি ডলারের।
তবে শুল্কের মূল প্রভাব নির্ভর করবে অন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ভারতের অবস্থানের সাপেক্ষে। কোন খাতে কত শুল্ক বসানো হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়, তবে নিচের খাতগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে—
রত্ন ও গয়নাশিল্প
ভারতীয় রত্ন ও গয়না রপ্তানিকারক পর্ষদ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক এই খাতের জন্য ‘গভীর উদ্বেগজনক’। সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এই খাত থেকে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি হয়। কিন্তু নতুন এই শুল্ক পুরো মূল্যশৃঙ্খলে—শ্রমিক থেকে বড় বড় উৎপাদক পর্যন্ত—ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করবে।
ওষুধশিল্প
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি জেনেরিক ওষুধ সরবরাহ করে ভারত। এর বার্ষিক মূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার। সান ফার্মা, ড. রেড্ডিজ, সিপলার মতো শীর্ষ ওষুধ কোম্পানিগুলোর আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি আসে মার্কিন বাজার থেকে।
তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত প্রতিটি ১০টি প্রেসক্রিপশনের মধ্যে চারটিতেই ভারতীয় কোম্পানির ওষুধের পরামর্শ ছিল। সে বছর ভারতীয় ওষুধের কল্যাণে মার্কিন স্বাস্থ্য খাতের সাশ্রয় হয়েছিল ২২০ বিলিয়ন বা ২২ হাজার কোটি ডলার। ২০১২-২২ পর্যন্ত এই সাশ্রয়ের পরিমাণ ছিল মোট ১ দশশিক ৩ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার।
টেক্সটাইল ও পোশাক খাত
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান যেমন গ্যাপ, ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য পোশাক, হোম ফ্যাব্রিক ও জুতা সরবরাহ করে ভারত। এই খাতের দাবি ছিল— ভিয়েতনাম বা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের ওপর শুল্ক কম থাকুক।
কিন্তু কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির মতে, এখন এই খাতকে ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করতে হবে। ভারতের উৎপাদকেরা শুল্কে কোনো প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবেন না। ভার্ডমান টেক্সটাইলস ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মার্কিন বাজারে অনিশ্চয়তার কারণে কার্যাদেশ কমছে। ওয়েলস্পান, ইন্ডো কাউন্ট, অরবিন্দ ফ্যাশনসের মতো কোম্পানিগুলোর অবস্থাও দুর্বল হবে।
ইলেকট্রনিকস
অ্যাপল কিছু আইফোন ভারতে তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে; এটা মূলত চীনের শুল্ক এড়ানোর কৌশল। কিন্তু এখন ভারতের ওপর যদি ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকলে, তবে এই পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স বিশ্লেষকদের মতে, ভারত থেকে আইফোন আমদানিতে যদি ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে অ্যাপলকে তার পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন আনতে হতে পারে।
পরিশোধন ও জ্বালানি খাত
রিলায়েন্স, ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। বর্তমানে ভারত মোট অপরিশোধিত তেলের ৩৭ শতাংশের বেশি আমদানি করে রাশিয়া থেকে। বাজারদরের চেয়ে কম দামে তারা এই তেল কিনছে। ফলে পরিশোধনাগারগুলো মুনাফা ধরে রাখতে পারছে। কিন্তু রাশিয়ার তেল আর পাওয়া না গেলে বা তা নিষিদ্ধ হলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে। তাতে ভারতীয় পরিশোধনাগারগুলোর মুনাফা কমবে।
ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা চলছে। আগামী অক্টোবরে তাদের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার আগ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্কহার প্রযোজ্য হবে।