চুক্তিবদ্ধ হয়েও ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার কাজ ছেড়ে দেন নাঈম-শাবনাজ
Published: 12th, March 2025 GMT
চিত্রনায়িকা শাবনাজ অভিনীত ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘হেনা’ সংলাপটি কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথমবার কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বললেন গুণী অভিনেত্রী শাবনাজ।
মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন শাবনাজ। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অনেকে তো এখন আমাকে ‘হেনা আপা’ নামেই সম্বোধন করছেন। বিষয়টি মজার, একই সাথে বিস্ময়কর। কারণ আজকাল তো বেশিরভাগ সময় নেতিবাচক বিষয়গুলোই ভাইরাল হয়। সে ক্ষেত্রে ২৯ বছর আগে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা নতুন করে পরিচিতি পাচ্ছে, এ প্রজন্মের দর্শকরা আমাদের সিনেমা বা অভিনয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে চর্চা করছেন, বিষয়টি অনেক বেশি ভালো লাগার। ভালো সিনেমার শক্তি এখানেই।”
অভিনেত্রী শাবনাজ অভিনয় ছেড়েছেন প্রায় দুই যুগের বেশি সময় হলো। অথচ এখনো সিনেমার দাগ বয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লাভ’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে গ্লাস ভেঙে হাত কেটে গিয়েছিল। সেই দাগ এখনো রয়ে গেছে। একই বছর একই পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অগ্রিম পারিশ্রমিকও নিয়েছিলেন সেই সময়ের সবচেয়ে সফল জুটি শাবনাজ-নাঈম।
তবে বিশেষ কারণে শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নেন, সিনেমাটিতে কাজ না করার। পরে এই সিনেমার মাধ্যমে মৌসুমী-সালমান শাহের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। অভিনয় না করলেও ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মহরতের দিন নতুন জুটিকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শাবনাজ-নাঈম।
১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে রাজকীয় অভিষেক হয় শাবনাজের। প্রথম সিনেমার জন্য ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। এরকম না বলা অনেক গল্পই জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ শেয়ার করেছেন এই অনুষ্ঠানে।
রুম্মান রশীদ খান ও অর্চি রহমানের সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বটি ঈদের পরের দিন সকাল ৭টায় প্রচার হবে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ক য় মত শ বন জ
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।
ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।
অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।
বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।
অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।