চিত্রনায়িকা শাবনাজ অভিনীত ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘হেনা’ সংলাপটি কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথমবার কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বললেন গুণী অভিনেত্রী শাবনাজ।

মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন শাবনাজ। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অনেকে তো এখন আমাকে ‘হেনা আপা’ নামেই সম্বোধন করছেন। বিষয়টি মজার, একই সাথে বিস্ময়কর। কারণ আজকাল তো বেশিরভাগ সময় নেতিবাচক বিষয়গুলোই ভাইরাল হয়। সে ক্ষেত্রে ২৯ বছর আগে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা নতুন করে পরিচিতি পাচ্ছে, এ প্রজন্মের দর্শকরা আমাদের সিনেমা বা অভিনয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে চর্চা করছেন, বিষয়টি অনেক বেশি ভালো লাগার। ভালো সিনেমার শক্তি এখানেই।”

অভিনেত্রী শাবনাজ অভিনয় ছেড়েছেন প্রায় দুই যুগের বেশি সময় হলো। অথচ এখনো সিনেমার দাগ বয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লাভ’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে গ্লাস ভেঙে হাত কেটে গিয়েছিল। সেই দাগ এখনো রয়ে গেছে। একই বছর একই পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অগ্রিম পারিশ্রমিকও নিয়েছিলেন সেই সময়ের সবচেয়ে সফল জুটি শাবনাজ-নাঈম।

তবে বিশেষ কারণে শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নেন, সিনেমাটিতে কাজ না করার। পরে এই সিনেমার মাধ্যমে মৌসুমী-সালমান শাহের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। অভিনয় না করলেও ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মহরতের দিন নতুন জুটিকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শাবনাজ-নাঈম।

১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে রাজকীয় অভিষেক হয় শাবনাজের। প্রথম সিনেমার জন্য ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। এরকম না বলা অনেক গল্পই জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ শেয়ার করেছেন এই অনুষ্ঠানে।

রুম্মান রশীদ খান ও অর্চি রহমানের সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বটি ঈদের পরের দিন সকাল ৭টায় প্রচার হবে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ক য় মত শ বন জ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ