ভারতে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনতে জিও-স্পেসএক্স চুক্তি
Published: 13th, March 2025 GMT
ভারতে স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে মুকেশ আম্বানির জিও প্ল্যাটফর্ম। বুধবার জিও এ চুক্তির ঘোষণা দেয়।
এর এক দিন আগেই ভারতের এয়ারটেল স্পেসএক্সের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির কথা জানিয়েছিল। ফলে ভারতের টেলিকম বাজারে স্টারলিংক পরিষেবা আনার দৌড়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিকম জায়ান্টই এগিয়ে গেল।
স্পেসএক্সের স্টারলিংক মূলত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে, যা দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকাতেও কার্যকরভাবে কাজ করে। ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে এই পরিষেবা চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল।
জিওর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চুক্তির আওতায় তারা স্টারলিংকের যন্ত্রাংশ খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া গ্রাহকদের স্টারলিংক সংযোগ প্রদান ও রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতার পরিকল্পনাও রয়েছে।
তবে ভারতের বাজারে স্টারলিংক পরিষেবা বিক্রির জন্য স্পেসএক্সকে সরকারের অনুমোদন পেতে হবে। গত মাসে জানা গিয়েছিল, স্পেসএক্সের স্টারলিংক ব্যবসার নিবন্ধন প্রাথমিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতে ইলন মাস্কের বর্তমানে শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ (X)-এর ব্যবসা রয়েছে। তবে তার বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলাও ভারতের বাজারে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। এর পরপরই স্টারলিংক পরিষেবা চালুর বিষয়ে আলোচনা আরও গতি পায়।
মুকেশ আম্বানির জিও প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই লুক্সেমবার্গের এসইএস কোম্পানির সঙ্গেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে কাজ করছে। ফলে ভারতের টেলিকম খাতে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স প সএক স ম ক শ আম ব ন স প সএক স র স পর ষ ব
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//