বলিউড তারকা কমল সদানার জীবনের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো, কিন্তু ভয়াবহ বাস্তবতা সব বদলে দেয়। ১৯৯২ সালে কাজলের সঙ্গে ‘বেখুদি’ ছবিতে বলিউডে অভিষেক হয় কমলের। তবে তার দুই বছর আগেই ঘটে যায় জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা, নিজের ২০তম জন্মদিনেই চোখের সামনে পরিবারের মৃত্যু দেখে ফেলেন তিনি।
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কমলের বাবা একে একে গুলি করেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে, এরপর গুলি চালান ছেলের ওপরও। শেষে নিজেকেও শেষ করেন তিনি। অলৌকিকভাবে বেঁচে যান কেবল কমল সদানা। সেই মুহূর্তে তাঁর গলায় গুলি লাগলেও আশ্চর্যজনকভাবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

বর্তমানে ৫৪ বছর বয়সী কমল আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ঘটনার দগদগে ক্ষত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মা আর বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, তখনো বুঝিনি আমিও গুলিবিদ্ধ হয়েছি। আমার শার্টে রক্ত দেখে ডাক্তারই প্রথম বুঝলেন আমি আহত।’

‘বেখুদি’ সিনেমায় কাজরের সঙ্গের কমল সদানা। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‎কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের বাইরে অবস্থান তৈরি করতে পারবেন : ডিসি জাহিদুল

‎গ্রীণ এন্ড ক্লিন কর্মসূচীর আওতায় সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপারদের  বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ‎এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা

‎বিআরটিএ সহকারী পরিচালক ইঞ্জি. মো. মাহাবুব রহমান সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান, ‎নারায়গঞ্জ জেলা বাস,  মিনিবাস পরিবহনের কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি  মো. রওশোন আলী সরকার, ‎নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মিয়া‎বিভিন্ন পরিবহনের সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপারগন।

‎এর আগে  নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‎পৃথিবীতে প্রযুক্তির কারণ অনেক পরিবর্তন হয়েছে  পৃথিবী থেমে নাই। প্রযুক্তির কারণে সব সেক্টরে পরিবর্তন হচ্ছে।পরিবহন সেক্টরে অনেক জায়গায় গাড়িতে চালক বসা লাগে না। নিদিষ্ট গন্তবে নামিয়ে দিচ্ছে।

আমরা এই পরিবর্তন থামিয়ে রাখতে পারছি না ২০-৩০ বছর আগে যেমনন তেমনি চলি তাহলে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলানো হচ্ছে না। বিশ্বের সাথে তাল মেলানো হচ্ছ না। জীবন একটাই জম্মানোর পরও যদি পরিবর্ন না করেন সময়ের সাথে পরিবর্তন না করেন তাহলে স্বার্থকতা কোথায়।

‎‎যখন থেকে ইঞ্জিল আবিষ্কার হবার পর থেকে মানুষের গতি বেরে গেছে। আপনানরা ইঞ্জির চালিয়ে আমাদের জীবনের গতি বারিয়ে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের জীবনে গতি বারালেও পৃথিবীর গতিসাথে চলতে পারছি না।  পৃথিবীর গতিতে চলতে হবে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ‎‎পরিহবন সেক্টর যারা চালাচ্ছেন এই সেক্টরে রাজা ‎আপনারা।

‎আপনারা যদি শৃঙ্খলা বদ্ধ না হন, আইনশৃঙ্খলায় না আসেন, আপনাদের অবস্থান যদি তৈরি না, সম্মানের জায়গা তৈরি না হয়। ‎পরবর্তিতে যারা আসবে তারা সম্মান পাবে না।

চালক হিসাবে আপনাকে গর্ব করতে হবে কোনো পেশাই ছোটো না। আপনারা কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের বাইরে নিজেদে অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ