মাগুরায় শিশুর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানি‌য়ে‌ছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ভাইস চেয়ারম্যান লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগ‌রে এবি পার্টি আয়োজিত চলমান গণ-ইফতারের ১৩তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।

হেলাল উদ্দিন ব‌লেন, “আমাদের মধ্যে চিন্তার পরিচ্ছন্নতা থাকলে শিশু আছিয়াকে এই ছোট্ট বয়সে জীবন দিতে হতো না। আমাদের চারপাশে কিছু মানুষের নোংরা মানসিকতা ও পাশবিকতার কারণেই শিশু আছিয়ার সঙ্গে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।”

আরো পড়ুন:

ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

‘ওসিকে বলেন আসতে, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সহকারী শিক্ষা সম্পাদক ফয়সাল মনিরের সঞ্চালনায় গণইফতারে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, বারকাজ নাসির আহমদ, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, পল্টন থানা আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, ঢাবি ছাত্রপক্ষের নেতা আসিফ হাসান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান।

হেলাল আরো বলেন, “আমরা বিগত স্বৈরাচার হাসিনাকে হটিয়েছি ছাত্রজনতার নেতৃত্বে। গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রিকশাওয়ালারা নায়কোচিত ভূমিকা পালন করেছেন, ঐ কঠিন সময়ে যখন অ্যাম্বুলেন্স রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন আমাদের রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা বিকল্প অ্যাম্বুলেন্সের ভূমিকা পালন করেছেন। আপনারাই এই আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি ছিলেন।”

সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদি শাসন ব্যবস্থা আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা লুটপাটের মহাউৎসবে পরিণত করা হয়েছিল। বিরোধীমতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালানো হয়েছে। ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করতে আমাদের দিনের পর দিন জেলে বন্দি রেখেছিলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আয়নাঘর তৈরি করা হয়েছিল। এতকিছু স্বত্বেও খুনি হাসিনা তার পতন ঠেকাতে পারেন নাই,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, সহ অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সহ প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক আরিফ সুলতান সহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ