স্বর্ণে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে ‘গোল্ড কিনেন’
Published: 14th, March 2025 GMT
যারা দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ বিনিয়োগ বেছে নিতে চান, তারা স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে পারেন। এ খাতে বিনিয়োগের সহজ উপায় নিয়ে এসেছে ‘গোল্ড কিনেন’ নামের একটি অ্যাপ। এর মাধ্যমে যে কোনো সময় স্বর্ণ
কেনা, সঞ্চয় করা এবং প্রয়োজনে বিক্রি বা উত্তোলন করতে পারবেন গ্রাহক। সঞ্চিত স্বর্ণ বেচাকেনা করা যাবে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নির্ধারিত অফিসিয়াল বাজার মূল্যে।
দেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে স্বর্ণ সঞ্চয় করার এই ব্যবসা চালু হয়েছে কামরান সঞ্জয় রহমান, রাফাতুল বারি লাবিব ও আতেফ হাসান নামের তিন উদ্যোক্তার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছন, তাদের লক্ষ্য ক্রেতার জন্য হলমার্ক ও সার্টিফায়েড ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ক্রয়, সঞ্চয় এবং উত্তোলন সহজ ও সাশ্রয়ী করে তোলা। অ্যাপটির মাধ্যমে উত্তোলন করা স্বর্ণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় সুরক্ষিত এবং বীমাকৃত ডেলিভারির মাধ্যমে এবং দেশজুড়ে ১৫০-এর বেশি নির্বাচিত পিকআপ পয়েন্টের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
তারা জানিয়েছেন, ‘গোল্ড কিনেন’ অ্যাপের মাধ্যমে স্বর্ণ কিনলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা হিসেবে সম্পূর্ণরূপে বীমা করা থাকবে। সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তিন, ছয় এবং বারো মাস মেয়াদে স্বর্ণ সঞ্চয় শুরু করা যাবে। প্রতি মাসে নির্ধারিত অর্থের সমপরিমাণ স্বর্ণ সঞ্চিত হবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। অ্যাপে সঞ্চিত স্বর্ণ যে কোনো সময় ১, ৫, ও ১০ গ্রামের স্বর্ণের বার অথবা ২ ও ৪ গ্রামের স্বর্ণের কয়েনরূপে উত্তোলন করা যাবে। গ্রাহকের অ্যাপে সংরক্ষিত স্বর্ণ থেকে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া যাবে। বিক্রিও করা যাবে যখন-তখন। বিক্রীত অর্থ জমা হবে গ্রাহকের ব্যাংক অথবা মোবাইল ওয়ালেট অ্যাকাউন্টে।
উদ্যোক্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপে গোল্ড ক্রয় ও উত্তোলনের সব পেমেন্ট বিকাশ, নগদ, ভিসা এবং মাস্টারকার্ডের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। তা ছাড়া ২২ ক্যারেট হলমার্ক প্রত্যায়িত খাঁটি স্বর্ণ এবং তা এখন দেশজুড়ে প্রত্যয়নপত্রের সঙ্গে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করা হয়। কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনার জন্য যথাযথ সব সরকারি সংস্থার অনুমোদন, যেমন– গোল্ড ডিলিং লাইসেন্স, ডিবিআইডি ইত্যাদির বৈধতা রয়েছে। এর পাশাপাশি গোল্ড কিনেন-এর ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সদস্যপদও রয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। বাণিজ্যিকভাবে ২০২৩ সালের এপ্রিলে পুরোপুরিভাবে অ্যাপটি সর্বসাধারণের জন্য ব্যবহারযোগ্য করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সমকালকে বিস্তারিত জানান গোল্ড কিনেন অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আতেফ হাসান। তিনি বলেন, দেশে স্বর্ণ কেনার প্রথম অ্যাপ ‘গোল্ড কিনেন’। এর মূল লক্ষ্য, মানুষের কাছে স্বর্ণকে আয়ত্তসাধ্য সঞ্চয়ের মাধ্যম গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজের ইচ্ছে মতো যে কোনো পরিমাণের স্বর্ণ কিনে তা সিকিউরড ব্যাংক-গ্রেড ভল্টে সঞ্চয় করতে পারবেন। এক গ্রাম থেকে শুরু করে সঞ্চিত গোল্ড থেকে স্বর্ণের বার ও কয়েন উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ স বর ণ ক ন গ র হক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।