ইসরায়েলি-আমেরিকান বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
Published: 15th, March 2025 GMT
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জিম্মি মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে হামাস। এর অংশ হিসেবে পাঁচ জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। যাদের মধ্যে একজন জীবিত আছেন। আর বাকি চারজন মারা গেছেন। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। যে জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবেন, তার নাম ইডান আলেক্সান্ডার। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, পাঁচ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাস। তারা শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার হামাস নেতৃবৃন্দ মধ্যস্থতাকারী ভাইদের কাছ থেকে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব পায়। এর পর গতকাল সকালে হামাস নেতৃবৃন্দ এতে দায়িত্বশীলতা ও ইতিবাচকভাবে জবাব দেয়। যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি সেনা ইডান আলেক্সান্ডারের মুক্তির চুক্তিটি। যার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও রয়েছে। এর সঙ্গে চার দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এ ছাড়া ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
এদিকে গাজা পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন করতে পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব নিয়ে সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব সুদান তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দিয়েছে। আর সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনবিষয়ক কোনো প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগই করা হয়নি।
গতকাল আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গুলি ছুড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়ও। দুই ঘটনায় চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধে অবরুদ্ধ গাজায় বিভিন্ন ধরনের রোগ বাড়ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।