দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেন সংগীত ও অভিনয়শিল্পী পারশা মাহজাবীন। আজ শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ঘটে প্রাণসংশয়ে পড়েছিলেন গায়িকা।

তিনি বলেন, ‘উবারে করে বনানী যাচ্ছিলাম। কুর্মিটোলার সামনে গাড়িতে হুট করে আগুন ধরে যায়। তড়িঘড়ি করে বেরিয়েছি। কীভাবে যে বের হয়েছি বলতে পারব না।’

নিজের ফেসবুকে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে কুর্মিটোলা হাপাতালের সামনে আমার উবারে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়াতে আমার গলা এখনও জ্বলছে। গাড়ির দরজাটাও খুলতে পারিনি প্রথম কিছুক্ষণ। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল! কীভাবে যে বেঁচে গেছি!’

এর আগে অন্য একটি পোস্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন পারশা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাড়িতে দাউ দাউ করছে আগুন। ধোঁয়া উড়ছে। পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ