Prothomalo:
2025-09-18@03:26:54 GMT

চাকরি কীভাবে খুঁজতে হয়

Published: 16th, March 2025 GMT

গুগলের সঠিক ব্যবহার

গুগলে চাকরি খুঁজলে সার্চ ইঞ্জিনটি বিভিন্ন উৎস থেকে আপনাকে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখাবে। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকম ‘ফিল্টার’ ব্যবহার করে অনুসন্ধানের ব্যাপ্তিটা নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। ধরা যাক, আপনি ঢাকায় মার্কেটিং–সংক্রান্ত চাকরি খুঁজছেন, কিংবা আপনি ঘরে বসেই (রিমোট জব) সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতে চান। কাজের ধরন, স্থান, সবই নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞতা, ডিগ্রি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ, এসবও ফিল্টারে উল্লেখ করা যায়। তবে এর চেয়েও কার্যকর হতে পারে ‘গুগল অ্যালার্ট’। google.

com/alerts-এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি কিছু নির্দিষ্ট কি–ওয়ার্ডের জন্য ‘অ্যালার্ট’ সেট করতে পারবেন। ধরা যাক, আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করতে চান। গুগল অ্যালার্টসে যদি ‘HR Job Bangladesh’, ‘HR Recruitment Bangladesh’—এ ধরনের কিছু কি–ওয়ার্ড সেট করে রাখেন, তাহলে যেকোনো ওয়েবসাইটে এ ধরনের নতুন চাকরির খোঁজ এলেই গুগল আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই–মেইল পাঠিয়ে দেবে।

ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ

ইদানীং অনেক প্রতিষ্ঠান ও নিয়োগকর্তা ফেসবুকের মাধ্যমেও চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরি–সংক্রান্ত নিজস্ব পেজও থাকে (যেমন বাংলালিংক ক্যারিয়ারস)। আবার এমন অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে, যেখানে নিয়মিত চাকরি বা ইন্টার্নশিপের সুযোগের খবর পোস্ট করা হয়। গ্রুপ নোটিফিকেশন চালু রাখলে আপনি নতুন পোস্টের তথ্য নিয়মিত পেয়ে যাবেন। কয়েকটি গ্রুপ: ভ্যাকেনসি অ্যানাউন্সমেন্ট বিডি, জবস ফর উইমেন ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড বিয়ন্ড, জব ইনফরমেশন বাংলাদেশ, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ও পেজ। আবার নির্দিষ্ট চাকরিভিত্তিক গ্রুপও আছে (যেমন গ্রাফিক ডিজাইন জবস বিডি)। ছাত্রজীবন থেকেই এ ধরনের গ্রুপগুলোতে যুক্ত হতে পারেন। তাহলে বাজারের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা হবে।

আরও পড়ুনদেশে বসে বিদেশে চাকরি, কেন জনপ্রিয় হচ্ছে ‘রিমোট জব’১৯ জানুয়ারি ২০২৫লিংকডইন

চাকরি খোঁজার জন্য লিংকডইন এখন সবচেয়ে প্রচলিত মাধ্যম। এখানে শুধু আপনিই যে চাকরি খুঁজবেন তা নয়, চাকরিও আপনাকে খুঁজবে। তাই নিজের প্রোফাইল ঠিকঠাক সাজানো জরুরি। linkedin.com/jobs-এ গেলেই আপনি নানা চাকরির খোঁজ পাবেন। নির্দিষ্ট ফিল্টার (অবস্থান, অভিজ্ঞতা স্তর, কোম্পানি ইত্যাদি) ব্যবহার করে বিভিন্ন চাকরির তথ্য ও বর্ণনা দেখতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান লিংকডইনের মাধ্যমে সরাসরি চাকরির আবেদনের সুযোগ দেয়। ‘ইজি অ্যাপ্লাই’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার প্রোফাইল থেকে চাকরির আবেদন চলে যাবে নিমেষে। আপনি যে খাতে চাকরি করতে চান, সেই খাতের নামী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোফাইল ‘ফলো’ করতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও থাকে লিংকডইনে।

চাকরির পোর্টাল

বাংলাদেশে বিভিন্ন চাকরির পোর্টাল (ওয়েবসাইট ও অ্যাপ) আছে। এসব পোর্টাল থেকে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন পদের জন্য চাকরির খোঁজ নিতে পারেন। বিডিজবসের মতো সাইট নিয়মিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এসব সাইটে নিবন্ধন করে আপনার হালনাগাদ সিভি আপলোড করুন। চাকরির শিরোনাম, অবস্থান, অভিজ্ঞতা এবং বেতনের তথ্য ফিল্টার করে নিলে অনুসন্ধান করা সহজ হবে।

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পেজে চাকরি ও ইন্টার্নশিপের তথ্য পোস্ট করে। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী, সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে নজর রাখতে পারেন। যেমন ব্র্যাক: careers.brac.net, ইউএনডিপি: undp.org/careers, গ্রামীণফোন: grameenphone.com/about/career, আইসিডিডিআরবি: career.icddrb.org, ইত্যাদি। এসব পোর্টাল আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করে জীবনবৃত্তান্ত আপলোড করার সুযোগ দেবে। নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ছাড়াও এসব ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড থাকলে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ জরুরি নিয়োগের সময় আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

আরও পড়ুনফ্রিল‍্যান্সিং শুরু করেও ব্যর্থ হওয়ার ৫ কারণ০২ মার্চ ২০২৫অভ্যন্তরীণ নিয়োগের খোঁজ নিন

অনেক প্রতিষ্ঠান ঘটা করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে অভ্যন্তরীণভাবে খোঁজ নেয়। অর্থাৎ অফিসের ভেতরেই কর্মীদের কাছে জানতে চায়, যোগ্য কোনো প্রার্থী আছে কি না। নতুন চাকরির খোঁজ জানতে কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগে ই–মেইল করতে পারেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হলে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারেন। সেটিও কাজে দেবে।

চাকরির মেলা

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ‘চাকরির মেলা’ আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় ‘জব ফেয়ার’। কোনো কোনো মেলা অবশ্য শুধু আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আপনি সরাসরি সিভি জমা দেওয়ার, এমনকি কখনো কখনো সাক্ষাৎকার দেওয়ার সুযোগও পাবেন। সব সময় সিভি ও পোর্টফলিও তৈরি রাখুন।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর র ব জ ন চ কর র চ কর র খ এ ধরন র ক জ কর ফ সব ক স ট কর র জন য আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ