Prothomalo:
2025-08-01@04:47:46 GMT

চাকরি কীভাবে খুঁজতে হয়

Published: 16th, March 2025 GMT

গুগলের সঠিক ব্যবহার

গুগলে চাকরি খুঁজলে সার্চ ইঞ্জিনটি বিভিন্ন উৎস থেকে আপনাকে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখাবে। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকম ‘ফিল্টার’ ব্যবহার করে অনুসন্ধানের ব্যাপ্তিটা নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। ধরা যাক, আপনি ঢাকায় মার্কেটিং–সংক্রান্ত চাকরি খুঁজছেন, কিংবা আপনি ঘরে বসেই (রিমোট জব) সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতে চান। কাজের ধরন, স্থান, সবই নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞতা, ডিগ্রি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ, এসবও ফিল্টারে উল্লেখ করা যায়। তবে এর চেয়েও কার্যকর হতে পারে ‘গুগল অ্যালার্ট’। google.

com/alerts-এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি কিছু নির্দিষ্ট কি–ওয়ার্ডের জন্য ‘অ্যালার্ট’ সেট করতে পারবেন। ধরা যাক, আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করতে চান। গুগল অ্যালার্টসে যদি ‘HR Job Bangladesh’, ‘HR Recruitment Bangladesh’—এ ধরনের কিছু কি–ওয়ার্ড সেট করে রাখেন, তাহলে যেকোনো ওয়েবসাইটে এ ধরনের নতুন চাকরির খোঁজ এলেই গুগল আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই–মেইল পাঠিয়ে দেবে।

ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ

ইদানীং অনেক প্রতিষ্ঠান ও নিয়োগকর্তা ফেসবুকের মাধ্যমেও চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরি–সংক্রান্ত নিজস্ব পেজও থাকে (যেমন বাংলালিংক ক্যারিয়ারস)। আবার এমন অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে, যেখানে নিয়মিত চাকরি বা ইন্টার্নশিপের সুযোগের খবর পোস্ট করা হয়। গ্রুপ নোটিফিকেশন চালু রাখলে আপনি নতুন পোস্টের তথ্য নিয়মিত পেয়ে যাবেন। কয়েকটি গ্রুপ: ভ্যাকেনসি অ্যানাউন্সমেন্ট বিডি, জবস ফর উইমেন ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড বিয়ন্ড, জব ইনফরমেশন বাংলাদেশ, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ও পেজ। আবার নির্দিষ্ট চাকরিভিত্তিক গ্রুপও আছে (যেমন গ্রাফিক ডিজাইন জবস বিডি)। ছাত্রজীবন থেকেই এ ধরনের গ্রুপগুলোতে যুক্ত হতে পারেন। তাহলে বাজারের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা হবে।

আরও পড়ুনদেশে বসে বিদেশে চাকরি, কেন জনপ্রিয় হচ্ছে ‘রিমোট জব’১৯ জানুয়ারি ২০২৫লিংকডইন

চাকরি খোঁজার জন্য লিংকডইন এখন সবচেয়ে প্রচলিত মাধ্যম। এখানে শুধু আপনিই যে চাকরি খুঁজবেন তা নয়, চাকরিও আপনাকে খুঁজবে। তাই নিজের প্রোফাইল ঠিকঠাক সাজানো জরুরি। linkedin.com/jobs-এ গেলেই আপনি নানা চাকরির খোঁজ পাবেন। নির্দিষ্ট ফিল্টার (অবস্থান, অভিজ্ঞতা স্তর, কোম্পানি ইত্যাদি) ব্যবহার করে বিভিন্ন চাকরির তথ্য ও বর্ণনা দেখতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান লিংকডইনের মাধ্যমে সরাসরি চাকরির আবেদনের সুযোগ দেয়। ‘ইজি অ্যাপ্লাই’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার প্রোফাইল থেকে চাকরির আবেদন চলে যাবে নিমেষে। আপনি যে খাতে চাকরি করতে চান, সেই খাতের নামী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোফাইল ‘ফলো’ করতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও থাকে লিংকডইনে।

চাকরির পোর্টাল

বাংলাদেশে বিভিন্ন চাকরির পোর্টাল (ওয়েবসাইট ও অ্যাপ) আছে। এসব পোর্টাল থেকে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন পদের জন্য চাকরির খোঁজ নিতে পারেন। বিডিজবসের মতো সাইট নিয়মিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এসব সাইটে নিবন্ধন করে আপনার হালনাগাদ সিভি আপলোড করুন। চাকরির শিরোনাম, অবস্থান, অভিজ্ঞতা এবং বেতনের তথ্য ফিল্টার করে নিলে অনুসন্ধান করা সহজ হবে।

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পেজে চাকরি ও ইন্টার্নশিপের তথ্য পোস্ট করে। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী, সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে নজর রাখতে পারেন। যেমন ব্র্যাক: careers.brac.net, ইউএনডিপি: undp.org/careers, গ্রামীণফোন: grameenphone.com/about/career, আইসিডিডিআরবি: career.icddrb.org, ইত্যাদি। এসব পোর্টাল আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করে জীবনবৃত্তান্ত আপলোড করার সুযোগ দেবে। নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ছাড়াও এসব ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড থাকলে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ জরুরি নিয়োগের সময় আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

আরও পড়ুনফ্রিল‍্যান্সিং শুরু করেও ব্যর্থ হওয়ার ৫ কারণ০২ মার্চ ২০২৫অভ্যন্তরীণ নিয়োগের খোঁজ নিন

অনেক প্রতিষ্ঠান ঘটা করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে অভ্যন্তরীণভাবে খোঁজ নেয়। অর্থাৎ অফিসের ভেতরেই কর্মীদের কাছে জানতে চায়, যোগ্য কোনো প্রার্থী আছে কি না। নতুন চাকরির খোঁজ জানতে কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগে ই–মেইল করতে পারেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হলে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারেন। সেটিও কাজে দেবে।

চাকরির মেলা

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ‘চাকরির মেলা’ আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় ‘জব ফেয়ার’। কোনো কোনো মেলা অবশ্য শুধু আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আপনি সরাসরি সিভি জমা দেওয়ার, এমনকি কখনো কখনো সাক্ষাৎকার দেওয়ার সুযোগও পাবেন। সব সময় সিভি ও পোর্টফলিও তৈরি রাখুন।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর র ব জ ন চ কর র চ কর র খ এ ধরন র ক জ কর ফ সব ক স ট কর র জন য আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ