নতুন প্রজন্মকে বক্সিংয়ে আগ্রহী করতে সুরকৃষ্ণ চাকমা’র নতুন উদ্যোগ
Published: 16th, March 2025 GMT
তরুণ ও যুব সমাজকে বক্সিংয়ে আগ্রহী করা এবং স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তুলতে ‘রাঙামাটি কমব্যাট ফিটনেস জিম’ নামে আধুনিক জিম চালু করলেন বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় ফিতা ও কেক কেটে জিমের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার বরুণ বিকাশ দেওয়ান।
বরুণ বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে রাঙামাটির গর্ব সুরকৃষ্ণ এ ধরনের একটি কমব্যাট জিম শুরু করেছে। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে সুরকৃষ্ণের হাত ধরে আরো অনেক বক্সার বেরিয়ে আসবে।’’
সুরকৃষ্ণ চাকমা বলেন, ‘‘এটি মূলত একটি ফিটনেস রিলেটেড জিম। এর বিশেষত্ব হলো, বক্সিং ও মিক্স মার্শাল আর্টের সমন্বয়ে ফিটনেস ঠিক রাখা। এ রকম জিমের জনপ্রিয়তা উন্নত বিশ্বের প্রায় সকল দেশে রয়েছে। বাংলাদেশে আমরা শুরু করলাম।’’
‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো একটা সুস্থ ও সবল প্রজন্ম তৈরি করা এবং সম্ভাবনাময় উদীয়মান খেলোয়াড়দের সাপোর্ট দেওয়া।’’ যোগ করেন তিনি।
শংকর//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।