দেশে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে। বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া সব হত্যার বিচার করা হবে।

আজ রোববার বিকেলে গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজনে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির যে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো রয়েছে, তার পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও জুলাই-আগস্ট মাসে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন, তার বিচার করা।’

বাংলাদেশে বিগত সময়ে হওয়া গুম-খুনের বিচারে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিগত সময়ে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের ত্যাগে আজকের মুক্ত বাংলাদেশ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের হারানোর মূল কারণ এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক অধিকারকেও প্রতিষ্ঠিত করা। এককথায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘একটি কথা আমি এত দিন বলিনি, আজকে বলছি, আজকে এখানে যাঁরা রয়েছেন, আমি এবং আমার ছোট ভাই, যাঁকে আমরা হারিয়েছি আমরা তাঁদেরই সদস্য। আমি ও আমার ভাই গুমের শিকার হওয়াদের অংশ।’

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদেরকে উদ্ধৃত করে তারেক রহমান বলেন, ‘হুম্মাম কিছুদিন আগে আমাকে বলেছে, আমাকে যে রুমে রাখা হয়েছে, তাঁকেও একই রুমে রাখা হয়েছে।’

দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নির্যাতিতদের জন্য সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিচার না হলে দেশে আবারও অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শহীদ পরিবারগুলোকে হতাশ না হয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছরে যাঁরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, আর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করবেন না।’

অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় গুম–খুনের শিকার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর পক্ষ থেকে তাঁদের ঈদ উপহার এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র কোষাধ্যক্ষ এ কে এম হাবিবুর রহমান মিল্লাতসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন পর ব র র ব এনপ র ন বল ন ব গত স অন ষ ঠ হয় ছ ন সদস য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের আবাসিক ব্লক পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে

ইসরায়েল বরাবরই বলে আসছিল তাদের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে এবং এই ব্যবস্থা বিদেশি আক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর। তবে শুক্রবার রাতে ইরানের পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ কাজ করেনি। ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের আবাসিক ব্লক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

রবিবার ভোরে ইরানের গুলিবর্ষণের পর ইসরায়েলের একটি মধ্যাঞ্চলীয় শহরে ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছে সিএনএন-এর একটি দল।

স্থানীয় সময় ভোর আড়াইটার দিকে বাত ইয়াম এলাকায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্র একটি আবাসিক ব্লকে আঘাত হেনেছে এবং ব্লকটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েল পুলিশের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র ডিন এলসডুন জানিয়েছেন ব্যাপক উদ্ধার প্রচেষ্টা এখনো চলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেছেন, “আমাদের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আরোএকটি রকেট হামলার ফলাফল এটি।”

পুলিশের মুখপাত্র শহরে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে জানিয়েছেন, ‘অনেকে’ আহত হয়েছেন এবং পুলিশ আরো ব্যক্তিদের খুঁজে বের করছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে রবিবার টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ