দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৭২ হাজার ৯৯৩ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

পূর্বে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আবেদনের তারিখ ও পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেখানে আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৩ মার্চ রাত ১১.

৫৯ পর্যন্ত।

এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৯৯৩ জন ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে মোট আবেদন করেছে ২৫ হাজার ৮০৬ জন, ‘বি’ ইউনিটে ২২ হাজার ২৯৫ জনের (তন্মধ্যে আর্কিটেকচারে ১ হাজার ৬৪৭ জন), ‘সি’ ইউনিটে ৬ হাজার ৮৪৯ জন (তন্মধ্যে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ থেকে ৪ হাজার ৪৫৫ জন) এবং ‘ডি’ ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন ১৮ হাজার ৪৩৯ জন (তন্মধ্যে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ৬ হাজার ৬৬৮ জন)।

আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৪৭ জন, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩০ জন, ‘সি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ২৪ জন এবং ‘ডি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৭ জন ভর্তিচ্ছু লড়বেন।

প্রতি ইউনিটের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার টাকা এবং আর্কিটেকচারের ড্রয়িং পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে বলা হয়েছিল।

‘এ’ ইউনিটে রয়েছে এগ্রিকালচার, ফিশারিজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদ; ‘বি’ ইউনিটে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান অনুষদ; ‘সি’ ইউনিটে রয়েছে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ‘ডি’ ইউনিটে রয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদ।

ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আসন র ব পর ত ভর ত চ ছ ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ