গাড়িতে বসে আছেন সালমান খান। তার দুই কানে দুল। গাল যেন ভেঙে গেছে। মুখের দাড়িতেও পাক ধরেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খানকে এমন লুকে দেখে নানারকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বলা যায়, আলোচনার ঝড় বইছে।

কিষাণ নামে একজন লেখেন, “আমার শৈশবের নায়ক এখন বৃদ্ধ।” আরেকজন লেখেন, “আমাদের বলিউডের টাইগার বুড়ো হয়ে গেছেন।” মকবুল লেখেন, “মেকআপ ছাড়া সালমানের এটাই আসল লুক।” কেউ কেউ বলছেন, “সালমান খান তো দাদাজি হয়ে গিয়েছেন।”

আরো পড়ুন:

শাহরুখ-সালমানের আয়ু নিয়ে জ্যোতিষীর বিস্ফোরক মন্তব্য

রাশমিকার সঙ্গে রোমান্স, সালমান নিলেন ১৬৭ কোটি টাকা

আগামী ডিসেম্বরে ষাট বছরে পা দেবেন সালমান খান। তাই অনেকে বলছেন, “৬০ বছরে পা রাখবেন সালমান খান। আর সেই ছাপই চোখেমুখে পড়েছে। যদিও সেই অনুযায়ী আমির বা শাহরুখের বয়স কম বোঝা যায়।”

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’। এ সিনেমার শেষ দৃশ্যের শুটিংয়ের পর এমন লুকে ক্যামেরাবন্দি হন সালমান। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে; যা নিয়ে চর্চা চলছে অন্তর্জালে।

‘সিকান্দার’ সিনেমায় ৩০ বছরের ছোট ‘পুষ্পা’ তারকা রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে সালমান খানকে। এটি পরিচালনা করছেন এ আর মুরুগাদোস। ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ