Prothomalo:
2025-09-18@07:46:44 GMT

লিভারপুল কাঁপানো ৫ দিন

Published: 17th, March 2025 GMT

লিভারপুল কাঁপানো ৫ দিন

একটা স্বপ্নহীন এবং কতগুলো রুক্ষ দিনের কথা ভেবেই মৌসুমটা শুরু করেছিল লিভারপুল। দলবদলে কোনো খেলোয়াড় কেনা হয়নি, ইয়ুর্গেন ক্লপের বিদায়ের ক্ষতও তখনো দগদগে। এমন পরিস্থিতিতে ভালো কিছুর আশা ছেড়ে দিয়েছিল লিভারপুলের কট্টর সমর্থকেরাও।

কেউ কেউ মৌসুম শেষে দলকে ৮-১০ নম্বরেও দেখে ফেলেছিল। এমনকি আর্নে স্লট নামে নতুন একজন কোচ এসে যে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন, সেটিও ঠিকঠাক কেউ খেয়াল করেননি। করবেন কীভাবে? ক্লপের বিদায়ের ধাক্কাটাই যে তারা তখনো সামাল দিতে পারেননি।  

কিন্তু স্বপ্নহীন ও প্রাণহীন সেই মৌসুমটাকে দায়িত্ব নিয়েই রাঙিয়ে তোলেন স্লট। পুরো চিত্রটাকেই আগা গোড়া বদলে দেয় ‘স্লট-বল’ কৌশল। যার ফলে কয়েক মাসের ব্যবধানে ক্লপ নিয়ে তৈরি হওয়া হাহাকারও থেমে গেল। আর স্লট হয়ে গেলেন লিভারপুলের স্বপ্নের নাবিক। যার কাঁধে ভর দিয়ে প্রথমে কোয়াড্রপল এবং পরে ট্রেবল জেতার স্বপ্ন দেখছিল ক্লাবটি। কিন্তু মুদ্রার অন্য পিঠের ছবিটা তখনো দেখা বাকি।

ফুটবলে মৌসুমের যে কোনো পর্যায়েই হুট করে এসে হাজির হতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত বাজে সময়। আর এসেই ‘আজ রবিবার’ নাটকের ফরহাদ সাহেবের সেই  বিখ্যাত ডায়লগের মতো বলতে পারে, ‘চলে এলাম’। দুঃসময়ের সেই ‘চলে আসার’ ডাকটা লিভারপুল শুনছে মৌসুমের শেষ ভাগে এসে। দলটি যখন ট্রেবল জয়ের স্বপ্নে বিভোর, তখনই এক ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে গেল সাজানো সব স্বপ্ন। ১২ থেকে ১৬ মার্চ—মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দুটি শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গিয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর হাতছাড়া হলো লিগ কাপের শিরোপাও।

আরও পড়ুনলিভারপুলকে হারিয়ে ৭০ বছর পর ইংল্যান্ডে ‘চ্যাম্পিয়ন’ নিউক্যাসল১৪ ঘণ্টা আগে

ফলে প্রায় ৮ মাস পর আবারও লিভারপুল সমর্থকদের কারও কারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে আবার দেখা মিলতে শুরু করেছে ক্লপের ছবিও। মৌসুমের শেষ ভাগে এসে একের পর এক শিরোপা হারানোর যন্ত্রণায় আবার হয়তো তারা মিস করছেন জার্মান সেই জাদুকরকে। কিন্তু ক্লপ তো এখন অতীত, লিভারপুলে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানে তাই হাত বাড়াতে হবে স্লটের দিকেই।

প্রশ্ন হচ্ছে, সব তো ঠিকঠাকই চলছিল তাহলে সমস্যাটা বাধল কোথায়? মৌসুমে লিভারপুলের পারফরম্যান্সের দিকে একটু গভীরভাবে তাকালেই উত্তরটা মিলবে। মৌসুমটা উড়ন্তভাবেই শুরু করেছিল লিভারপুল। ক্লপের রেখে যাওয়া দলটাকে নিজের চাঁচে ফেলে গুছিয়েও নিয়েছিলেন স্লট।

তারওপর দলের মূল খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ, ভার্জিল ফন ডাইক কিংবা কোডি গাকপোরাও ছিলেন ছন্দে। ফলে ম্যাচের পর ম্যাচে লিভারপুল জিতেও চলছিল। এমনকি এর মধ্যে দলীয় এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে বেশ কিছু মাইফলকের সাক্ষীও হয়েছে ক্লাবটি। লিগে যেমন লিভারপুল ২৯ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে মাত্র ১টি ম্যাচ।

সব মিলিয়ে লিগে লিভারপুল এখন পর্যন্ত ২৫ ম্যাচে অপরাজিত আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম পর্বেও লিভারপুল জিতেছে টানা ৭ ম্যাচ। কিন্তু স্তুপ করে রাখা এসব জয় দিন শেষে প্রত্যাশিত ফল এনে দিতে পারছে না। মূলত লম্বা সময় ধরে টানা ম্যাচ খেলার ধকল কোনো না কোনো পর্যায়ে আসতেই হতো।

হতাশ লিভারপুলের খেলোয়াড়েরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 

বিংশ শতাব্দীর আগে পৃথিবীর মানচিত্রে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান নামের এই পাঁচটি দেশ ছিলো না।  মূলত ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই রাষ্ট্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। পরে চীনের সহায়তায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে পুনরুত্থান হয়েছে। এখন প্রশ্ন  করা যেতে পারে, চীন কেন আবারও  এই অঞ্চলগুলোকে শক্তিশালী করে তুলছে?

ঐতিহাসিকভাবে মধ্য এশিয়া অঞ্চল সিল্করোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো। যা চীনকে মধ্যপ্রাচ্য এবং রোমান সভ্যতার সাথে যুক্ত করেছিলো।  বীজ গণিতের জনক আল খারিজমি, আবু সিনার মতো বিজ্ঞানীদের জন্ম হয়েছে এখানে। যাদের লেখা বই ইউরোপে শত শত বছর ধরে চিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। চেঙ্গিস খানও এই অঞ্চলে তার সম্রাজ্যের নিদর্শন রেখে গেছেন। পাশাপাশি ঘোড়ার পিঠে আদিম যাযাবর জীবনের ঐতিহ্যও টিকে আছে এখানে। 

আরো পড়ুন:

রাশিয়ার ‍বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা 

রাজনৈতিক প্রভাব ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করেছিলো রুশরা। উপনিবেশিক শাসন এমনভাবে চালু করেছিলো, যা অনেকটা ব্রিটিশ বা ফরাসি সম্রাজ্যের মতো দেখতে। 
রাজ্যগুলোকে শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি যাযাবর জাতিকে যুদ্ধ যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। আর যাযাবর জাতিকে বসতি স্থাপনে বাধ্য করা হয়েছিলো। এরপর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফলে কাজাখ জনগোষ্ঠীর চল্লিশ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ মানুষ অনাহারে মারা যায়। এবং যাযাবর জনগোষ্ঠীর যে অর্থনীতি, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ সোভিয়েত আমলে কাজাখ যাযাবররা যে পশুপালন করতো তার নব্বই শতাংশই মারা যায়। ফলে বাধ্য হয়ে কাজাখদের যাযাবর জীবনযাত্রা ছেড়ে দিতে হয়। বলতে গেলে সোভিয়েত আমলে কাজাখ সভ্যতা ও সংস্কৃতির বেদনাদায়ক পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। 

১৯৯১ সালে সোভিয়েন ইউনিয়নের পতন হয়, সৃষ্টি হয় এই পাঁচটি স্বাধীন দেশের। এই দেশগুলো স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী বিশ্বে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের ব্যাপক সংগ্রাম করতে হয়। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতিগুলো নিজস্ব সীমানার মধ্যে এক অনন্য পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও তাদের ওপর বাইরের প্রভাবও রয়েছে। তুরস্ক এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি আরও বেশি জানান দিচ্ছে। সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত মিল আছে। এমনকি শিক্ষাগত কাঠামোতেও মিল রয়েছে। তুরস্ক মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার পণ্য রফতানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত। 

জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুর বাস করেন। যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। এদের নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া উইঘুর পরিচয় মুছে ফেলতে তাদের পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটকে রাখার অভিযোগও আছে। যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। 

বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর চীন মধ্য এশিয়ায় ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। এই অঞ্চলটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চাইছে, যা অনেকটা সিল্করুটের মতোই। 

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় প্রাচীন সিল্ক রোড পুনরুজ্জীবিত করার একটি সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই রোড পুনরুজ্জীবিত হলে রাশিয়া আর চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা এই অঞ্চলের ভূ রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা বাড়বে-সেটাও সময় বলে দেবে।  

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কাজ কি শুধু ভাইভা নেওয়া
  • কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীতে বিদ্বেষ কেন
  • চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি দাঙ্গা–ফ্যাসাদকেই নীতি হিসেবে নিয়েছেন