নির্মাতা শিহাব শাহীন। নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০১৪ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। এরপর কেটে গেছে দশ বছর। মাঝে বড় বাজেটের ওয়েব কনটেন্ট বানালেও ফেরা হয়নি প্রেক্ষাগৃহে। এবার অপেক্ষার অবসান। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ‘দাগি’। এ যাত্রায় তার সঙ্গী আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও রাশেদ মামুন অপুসহ আরও অনেকে। নতুন সিনেমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।

১০ বছর বিরতি দিয়ে সিনেমায় আসার কারণ?
বিরতি বললে ভুল হবে। এর মধ্যে সিনেমা না বানালেনও ওয়েব ফিল্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বড় বাজেটের অনেক ফিল্ম বানিয়েছি। কাজ থেমে থাকেনি। এটা বলতে পারি, বড় পর্দার জন্য সেভাবে সুযোগ মেলেনি। দীর্ঘ বিরতির পর ‘দাগি’ দিয়ে ফিরছি। এমন গল্পের অপেক্ষায় ছিলাম। গেলো দুই তিন বছর আগে এই গল্পটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ফাইনালি কাজ শেষ করতে পেরেছি। ঈদে দর্শকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

‘দাগি’ সিনেমার গল্প কেমন?
এমন গল্প নিয়ে বাংলাদেশের কাজ হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি গল্প। এখানে জেল থেকে শুরু করে প্রায়শ্চিত্ত ও অনুশোচনা গল্প। এছাড়া দারুণ অনেক বিষয় আছে। আমি এটুকু বলতে পারি, সিনেমাটি দেখার পর দর্শক ঠকবে না।

টিজার দেখে অনেকে বলছেন, এটা শুধু একজন মানুষের জেলজীবনের গল্প.

..
টিজারে আমি কিন্তু কোনো ধারণা দেইনি। জেল, জেলের বাইরের জীবন ও বৃহত্তর কারাগারসহ বিভিন্ন বিষয় এতে উঠে এসেছে। গল্পের বেশ কিছু লেয়ার আছে। যেমন আফারান নিশো তিন লুক নিয়েও মানুষ কথা বলছে। আগেই কিছু বলা ঠিক হবে না।

আফরান নিশোর সঙ্গে নাটক-ওটিটির পর এবার সিনেমায়...
হ্যাঁ। নিশোর সঙ্গে আমি নাটকে বহু কাজ করেছি। ওটিটিতে আমরা বেশ কয়েকটি বড় কাজ করেছি, বলা চলে সবগুলোই সফল। সিনেমাতে তেমন কোনো পরিবর্তন সেই। নিশো যখন কাজ করে সব দিয়ে কাজ করে। এবারও তেমনটাই ঘটেছে। ‘দাগি’ সিনেমায় আপনারা যে নিশানকে (নিশো) দেখবেন তা ব্যতিক্রম।

তমা মির্জা ও সানেরাহ কেমন করল?
আমার মনে হয়, এটা তমা মির্জা জীবনের সবচেয়ে ভালো ছবি হতে যাচ্ছে। আর সুনেরাহ তো নতুন এসেছে, ওরও এটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এই সময় আপনার ‘দাগি’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থকার কথা কিন্তু আপনি ‘অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের শুটিং করছেন...
‘অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের শুটিং প্রায় শেষের দিকে। একটু শুটিং বাকি আছে। এছাড়া দুই পর্দায় দুটো বড় বাজেটের কন্টেন্ট নিয়ে চাপের কিছু দেখছি না। কারণ, আমি আমার দর্শকের জন্য কাজ করেছি। তাদের জন্য সৎভাবে আমি গল্পটা বলতে চেয়েছি। গল্প বলার ক্ষেত্রে কখনো কম্প্রোমাইজ করিনি বা দর্শককে ঠকায়নি। সুতরাং আমার মধ্যে কোনো চাপ নেই। গল্প আর অভিনয় ভালো হলে দর্শক হলে আসবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ ঈদ র স ন ম ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ