১০ বছর এমন গল্পের অপেক্ষায় ছিলাম: শিহাব শাহীন
Published: 17th, March 2025 GMT
নির্মাতা শিহাব শাহীন। নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০১৪ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। এরপর কেটে গেছে দশ বছর। মাঝে বড় বাজেটের ওয়েব কনটেন্ট বানালেও ফেরা হয়নি প্রেক্ষাগৃহে। এবার অপেক্ষার অবসান। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ‘দাগি’। এ যাত্রায় তার সঙ্গী আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও রাশেদ মামুন অপুসহ আরও অনেকে। নতুন সিনেমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
১০ বছর বিরতি দিয়ে সিনেমায় আসার কারণ?
বিরতি বললে ভুল হবে। এর মধ্যে সিনেমা না বানালেনও ওয়েব ফিল্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বড় বাজেটের অনেক ফিল্ম বানিয়েছি। কাজ থেমে থাকেনি। এটা বলতে পারি, বড় পর্দার জন্য সেভাবে সুযোগ মেলেনি। দীর্ঘ বিরতির পর ‘দাগি’ দিয়ে ফিরছি। এমন গল্পের অপেক্ষায় ছিলাম। গেলো দুই তিন বছর আগে এই গল্পটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ফাইনালি কাজ শেষ করতে পেরেছি। ঈদে দর্শকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
‘দাগি’ সিনেমার গল্প কেমন?
এমন গল্প নিয়ে বাংলাদেশের কাজ হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি গল্প। এখানে জেল থেকে শুরু করে প্রায়শ্চিত্ত ও অনুশোচনা গল্প। এছাড়া দারুণ অনেক বিষয় আছে। আমি এটুকু বলতে পারি, সিনেমাটি দেখার পর দর্শক ঠকবে না।
টিজার দেখে অনেকে বলছেন, এটা শুধু একজন মানুষের জেলজীবনের গল্প.
..
টিজারে আমি কিন্তু কোনো ধারণা দেইনি। জেল, জেলের বাইরের জীবন ও বৃহত্তর কারাগারসহ বিভিন্ন বিষয় এতে উঠে এসেছে। গল্পের বেশ কিছু লেয়ার আছে। যেমন আফারান নিশো তিন লুক নিয়েও মানুষ কথা বলছে। আগেই কিছু বলা ঠিক হবে না।
আফরান নিশোর সঙ্গে নাটক-ওটিটির পর এবার সিনেমায়...
হ্যাঁ। নিশোর সঙ্গে আমি নাটকে বহু কাজ করেছি। ওটিটিতে আমরা বেশ কয়েকটি বড় কাজ করেছি, বলা চলে সবগুলোই সফল। সিনেমাতে তেমন কোনো পরিবর্তন সেই। নিশো যখন কাজ করে সব দিয়ে কাজ করে। এবারও তেমনটাই ঘটেছে। ‘দাগি’ সিনেমায় আপনারা যে নিশানকে (নিশো) দেখবেন তা ব্যতিক্রম।
তমা মির্জা ও সানেরাহ কেমন করল?
আমার মনে হয়, এটা তমা মির্জা জীবনের সবচেয়ে ভালো ছবি হতে যাচ্ছে। আর সুনেরাহ তো নতুন এসেছে, ওরও এটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এই সময় আপনার ‘দাগি’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থকার কথা কিন্তু আপনি ‘অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের শুটিং করছেন...
‘অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের শুটিং প্রায় শেষের দিকে। একটু শুটিং বাকি আছে। এছাড়া দুই পর্দায় দুটো বড় বাজেটের কন্টেন্ট নিয়ে চাপের কিছু দেখছি না। কারণ, আমি আমার দর্শকের জন্য কাজ করেছি। তাদের জন্য সৎভাবে আমি গল্পটা বলতে চেয়েছি। গল্প বলার ক্ষেত্রে কখনো কম্প্রোমাইজ করিনি বা দর্শককে ঠকায়নি। সুতরাং আমার মধ্যে কোনো চাপ নেই। গল্প আর অভিনয় ভালো হলে দর্শক হলে আসবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ ঈদ র স ন ম ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।