মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান ব্যবহার করলে যেসব ক্ষতি
Published: 18th, March 2025 GMT
সাবান মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা, এই বিষয়ে আমরা তেমন একটা নজর দিতে চাই না। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান শরীরের নানা ক্ষতি করতে পারে। তিনটি লক্ষণ দেখে বোঝা যায় সাবান মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে কিনা। ভারতীয় চিকিৎসক ডাঃ করুণা মালহোত্রা, কসমেটোলজিস্ট বলেন, ‘‘আপনার সাবানের বারটি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন বিবর্ণ হয়ে গেছে কিনা। এ ছাড়া সাবানের সুগন্ধ কমে যাওয়া এবং এতে ছত্রাকের লক্ষণ দেখা দেওয়া- এ সবই সাবান মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার লক্ষণ।’’  
মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান ত্বকের যে ক্ষতি করে
সাবান যখন ব্যবহার করা শুরু হয়, তখন থেকে বারটি কোথায় রাখা হচ্ছে, কীভাবে রাখা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে সাবানের রং ও গুণ ভালো থাকা না থাকা। সাবান ব্যবহারের পর এমনভাবে সংরক্ষণ করা উচিত যাতে সবানের গায়ে পানি জমে না থাকে। সোপ কেসে পানি জমে থাকলে তাতে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্ম হতে পারে। যা ক্ষকের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সাবান ব্যবহারের পরে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি।
আরো পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জাপানি কৌশল ‘গেইদো’
রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করা যাবে?
মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকে চুলকানি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া র্যাশ ও ঘা হতে পারে।
মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার জন্য সাবান ব্যবহারের পরে পেট্রলিয়াম জেলি বা তরল প্যারাফিন বেসড ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ম্যাসাজ করে নেওয়া ভালো।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ন ব যবহ র র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’