হামজাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় তোলপাড়
Published: 18th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী ভারতেও তাকে নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। দেশটির শীর্ষ ক্রীড়া গণমাধ্যমগুলো তার আগমনকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই আত্মবিশ্বাসী চৌধুরী। তার প্রথম লক্ষ্য—এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতকে হারানো। এ নিয়ে কোনো রাখঢাকও নেই তার কথায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জয়ের জন্যই তিনি মাঠে নামবেন। লাল-সবুজের জার্সিতে তার আবির্ভাব যেন বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে, যা স্বপ্ন দেখাচ্ছে কোটি ভক্তকে।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে হবে সেই প্রতীক্ষিত লড়াই, যেখানে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ভারতীয় শিবিরেও হামজার আগমনের প্রভাব স্পষ্ট। ম্যাচটি ঘিরে তাদের প্রস্তুতিতে এসেছে পরিবর্তন। এমনকি অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীও অবসর ভেঙে ফিরেছেন শুধুমাত্র এই ম্যাচের জন্য। মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে ভারতীয় দল।
আরো পড়ুন:
নেইমারের পর ছিটকে গেলেন মেসি
সাকিব-হামজাকে ঘিরে ‘অহেতুক’ বিভাজন রেখা
এদিকে, হামজার বাংলাদেশ দলে যোগদান ভারতীয় মিডিয়ায় তুমুল সাড়া ফেলেছে। ‘ইএসপিএন ইন্ডিয়া’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি, যেখানে দেখা যায়, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছাদখোলা গাড়িতে ভক্তদের উচ্ছ্বাসের মাঝে তিনি।
ভারতের ক্রীড়া বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘রেভস্পোর্টজ’ হামজার যোগদানকে ‘বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে, ‘ফার্স্টপোস্ট’ আরও এক ধাপ এগিয়ে শিরোনাম করেছে, ‘এফএ কাপ জয়ী হামজার বাংলাদেশে যোগদান কেন ভারতীয় ফুটবলের জন্য বড় মাথাব্যথা?’
সব মিলিয়ে হামজা চৌধুরীর আগমন শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো উপমহাদেশের ফুটবলে এক নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, মাঠের খেলায় তিনি কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক