তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আমাদের প্রযুক্তি-অধ্যায় ১, দ্বিতীয় অংশ। এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫
Published: 18th, March 2025 GMT
২১. কাকে ‘প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক’ হিসেবে সম্মানিত করা হয়?
ক. অ্যাডে লাভলেস খ. লর্ড বায়রন
গ. স্টিভ জবস ঘ. চার্লস ব্যাবেজ
২২. তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের ধারণা প্রথম প্রকাশ করেন কে?
ক. জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল খ. স্টিভ জবস
গ. গুগলিয়েলমো মার্কনি ঘ. জগদীশচন্দ্র বসু
২৩. বিনা তারে বার্তা প্রেরণের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে ম্যাক্সওয়েলের কোনো ধারণাটি?
ক.
গ. চৌম্বক শক্তি ঘ. চৌম্বকীয় বলআরও পড়ুনউন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা, ভর্তি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত২১ ঘণ্টা আগে
২৪. কোনো বাঙালি বিজ্ঞানী বিনা তারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বার্তা প্রেরণে প্রথম সফল হন?
ক. প্রফুল্ল চন্দ্র রায় খ. কুদরাত-ই-খুদা
গ. সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঘ. জগদীশচন্দ্র বসু
২৫. জগদীশচন্দ্র বসু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য প্রেরণে কোনটির ব্যবহার করেন?
ক. অতি দীর্ঘ তরঙ্গ খ. অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ
গ. ওয়াই-ফাই ঘ. ফাইবার অপটিকস
২৬. কত সালে বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য প্রেরণে সফল হন?
ক.১৮৫২ সালে খ.১৮৫৩ সালে
গ.১৮৭১ সালে ঘ.১৮৯৫ সালে
২৭. ‘বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক’ বলা হয় কাকে?
ক. গুগলিয়েলমো মার্কনি খ. রেমন্ড স্যামুয়েলস টমলিনসন
গ. চার্লস ব্যাবেজ ঘ. অ্যাডে লাভলেস
২৮. আইবিএম কোম্পানির প্রথম কম্পিউটারের নাম কী?
ক. মাইক্রো খ. মিনিফ্রেম গ. মেইনফ্রেম ঘ. মাইক্রো
২৯. বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্কের নাম কম?
ক. আরপানেট খ. টপোলজি গ. প্রটোকল ঘ. ইন্টারনেট
৩০. ‘নেটওয়ার্ক’ কী?
ক. কম্পিউটারগুলোর মধ্যে আন্তসংযোগ খ. ইন্টারনেটের নাম
গ. একাধিক প্রটোকল ঘ. প্রোগ্রামের সংযোগ
৩১. ‘আরপানেট’ কী?
ক. একটি নেটওয়ার্কের নাম খ. মাইক্রোপ্রসেসর
গ. প্রোগ্রামের নাম ঘ. ইন্টারনেটের নাম
৩২. বিশ্বের প্রথম ই-মেইল সিস্টেম চালু করেন কে?
ক. জেমস ক্লার্ক খ. অ্যাডে লাভলেস
গ. মার্ক জাকারবার্গ ঘ. রেমন্ড স্যামুয়েলস টমলিনসন
৩৩. বিশ্বের প্রথম ই-মেইল সিস্টেম চালু হয় কত সালে?
ক.১৯৭১ সালে খ.১৯৭২ সালে
গ.১৯৮২ সালে ঘ.১৯৯৫ সালে
৩৪. মাইক্রো প্রসেসর আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
ক.১৯৭১ সালে খ.১৯৭৬ সালে
গ.১৯৮১ সালে ঘ.১৯৮৫ সালে
৩৫. অ্যাপল কম্পিউটারের প্রতিষ্ঠাতা কে?
ক. স্টিভ জবস খ. স্টিভ ওজনিয়াক
গ. রোনাল্ড ওয়েইন ঘ. তাঁরা সবাই
৩৬. কম্পিউটার জগতে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান কোনটি?
ক. Adobe খ. Dell গ. Apple ঘ. Google
৩৭. মাইক্রোসফটের স্বত্বাধিকারী কে?
ক. স্টিভ জবস খ. মার্ক জাকারবার্গ
গ. টিম বার্নার্স-লি ঘ. বিল গেট
৩৮. ‘বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১’ কত সালে মহাকাশে পাঠানো হয়?
ক.১২ মে ২০১৮ সালে খ.১৫ জুন ২০১৯ সালে
গ.১৫ জুলাই ২০২০ সালে ঘ.১২ জুলাই ২০২১ সালে
৩৯. ‘উইন্ডোজ’ কী?
ক. হিসাব-নিকাশের প্রোগ্রাম খ. নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক
গ. কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ঘ. ডেটাবেইস প্রোগ্রাম
৪০. ‘COD’-এর পূর্ণ রূপ কোনটি?
ক. Cash Over Delivery খ. Cash On Delivery
গ. Cash Before Delivery ঘ. Cash After Delivery
সঠিক উত্তর:
২১. ক ২২. ক ২৩. ক ২৪. ঘ ২৫. খ ২৬. ঘ ২৭. ক ২৮. গ ২৯. ক ৩০. ক ৩১. ক ৩২. ঘ ৩৩. ক ৩৪. ক ৩৫. ঘ ৩৬. গ ৩৭. ঘ ৩৮. ক ৩৯. গ ৪০. খ
লেখা: প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টওয় র ক র প রথম কত স ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
মানুষের হৃদয়ে ঈমানের আগুন জ্বালানোর প্রয়াসে শায়খ মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভী (১৮৮৫-১৯৪৪) গড়ে তুলেছিলেন জামায়াতে তাবলিগ, যা বিশ্বব্যাপী দাওয়াতের এক অপূর্ব নজির। তাঁর বাণী ও উপদেশের সংকলন ‘মালফুজাত’ নামে আরবি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে, যা তাঁর দাওয়াতি দর্শন ও তরবিয়তি পদ্ধতির এক জীবন্ত দলিল। দামেস্কের দারুল কলম থেকে প্রকাশিত এই গ্রন্থ, শায়খ আদিল হাররাজি আল-ইয়ামানি আন-নাদভির তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত, তাবলিগ জামায়াতে মূল দর্শনের প্রাথমিক উৎস হিসেবে বিবেচিত। এটি শুধু মুহাম্মদ ইলিয়াসের বাণীর সংকলন নয় বরং একটি ঐতিহাসিক ও দাওয়াতি দলিল, যা আধুনিক ইসলামি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে।
‘মালফুজাত’-এর শিক্ষা
শায়খ মুহাম্মদ ইলিয়াসের মজলিস মালফুজাত সংরক্ষণ করেছেন তাঁর শিষ্য মুহাম্মদ মানজুর। তাবলিগ জামায়াতে ছয়টি মূলনীতি—কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকর, ইকরামুল মুসলিমিন, ইখলাস ও নিয়ত এবং আল্লাহর পথে বের হওয়ার ভিত্তিতে গ্রন্থটি রচিত। তিনি তাওহিদকে (আল্লাহর একত্ব) নাজাতের মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তাওহিদের দুর্বলতা মুসলিমদের অধঃপতনের কারণ’। তিনি ফরজ ইবাদতের প্রাধান্য, জিকিরের প্রাচুর্য এবং তাকওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফরজগুলোর মর্যাদা নফলের চেয়ে অনেক উঁচুতে। নফলের উদ্দেশ্য ফরজগুলোর ঘাটতি পূরণ করা’ (মালফুজাত, দারুল কলম, ২০২৫)।
তাঁর দাওয়াতি পদ্ধতি ছিল সরল কিন্তু গভীর। তিনি আল্লাহর পথে বের হওয়াকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যম হিসেবে দেখতেন, যা তাবলিগের একটি বৈশিষ্ট্য। তিনি রিয়া (লোকদেখানো) ও বিতর্ক এড়ানোর পরামর্শ দেন, বলেন, ‘ইখলাস (খাঁটি আল্লাহর জন্য) ছাড়া কোনো কাজ কবুল হয় না।’ তাঁর দৃষ্টিতে, দাওয়াতের লক্ষ্য হলো আল্লাহর আদেশকে মানুষের স্বভাবে পরিণত করা, যাতে নিষিদ্ধ কাজ তার কাছে অপছন্দনীয় হয়। তিনি জিকিরকে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রধান উপায় হিসেবে বিবেচনা করতেন।
শায়খ ইলিয়াসের দাওয়াতি পদ্ধতি ছিল তাওয়াজ্জুহ বা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের পরিবর্তে তাজকিয়া (আত্মশুদ্ধি) ও ইখলাসের ওপর কেন্দ্রীভূত। তিনি জটিল তাত্ত্বিক আলোচনার পরিবর্তে সরল নসিহতের ওপর জোর দিতেন। তাঁর মতে, দাওয়াত হবে এমন, যেন ‘আল্লাহর আদেশ মানুষের স্বভাব হয়ে যায়’। তিনি আল্লাহর পথে বের হওয়াকে তুলনা করতেন সাহাবিদের ত্যাগের সঙ্গে, যা দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক উন্নতি আনে। তিনি বলেন, ‘দাওয়াতে আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার ফরজ, কিন্তু কতজন এই ফরজ পালন করে?’ (মালফুজাত, দারুল কলম, ২০২৫)।
আরও পড়ুনসুরা হুমাজাতে চারটি পাপের শাস্তির বর্ণনা০৬ মে ২০২৫ঐতিহাসিক পটভূমি
মুহাম্মদ ইলিয়াস ভারতের কান্ধলায় একটি আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দেওবন্দি সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে তাঁর শৈশব কাটে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন, সাধারণ মুসলিমদের ধর্মীয় অজ্ঞতা এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ তাঁর দাওয়াতি চিন্তার পটভূমি। তিনি বিশ্বাস করতেন, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মুসলিমদের সংস্কার করতে পারবে না। তাই তিনি একটি জনগণভিত্তিক, বিকেন্দ্রীকৃত আন্দোলন শুরু করেন, যেখানে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা দাওয়াতে অংশ নেয়। তিনি নবীর (সা.) মক্কার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হন, যেখানে তিনি ঘুরে ঘুরে মানুষকে দাওয়াত দিতেন। তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) মক্কায় তাওয়াফ করে মানুষকে হকের দাওয়াত দিতেন’ (মালফুজাত, দারুল কলম, ২০২৫)।
গ্রন্থের গঠন ও সম্পাদনা
মালফুজাত তাঁর মজলিসের সংকলন হলেও এটি একটি সুশৃঙ্খল দাওয়াতি দলিল। সম্পাদনা করেছেন আবুল হাসান আলী নাদভি (রহ.)-এর শিষ্য শেখ আদিল হাররাজি। মুফতি মুহাম্মদ তকী উসমানী, ড. খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি ও নূরুল হাসান রাশিদ কান্ধলভী প্রমুখের মতো পাকিস্তান ও ভারতের শীর্ষস্থানীয় ইসলামবেত্তাদের ভূমিকা গ্রন্থটিকে মহামূল্য করে তুলেছে। তাদের ভূমিকাগুলো গ্রন্থের দাওয়াতি ও ঐতিহাসিক পটভূমি বুঝতে সাহায্য করবে। আলী নাদভির সঙ্গে মুহাম্মাদ ইলিয়াসের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক এবং তাবলিগের বিশ্বব্যাপী প্রভাবও এতে তুলে ধরা হয়েছে।
আজ যখন মুসলিম বিশ্ব নানা সংকটের মুখোমুখি, এই গ্রন্থ আমাদের তাওহিদ, ইখলাস ও তাজকিয়ার প্রতি ফিরে যেতে আহ্বান জানায়। এটি প্রতিটি দাঈ ও মুসলিমের জন্য একটি পাঠ্য, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ‘দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীনকে জীবন্ত করে তুলতে হবে।’
সূত্র: আল-জাজিরা ডটনেট
আরও পড়ুন সুরা ইউসুফের সারকথা১৫ জুলাই ২০২৪