ছেলেদের ঈদ মানেই সারাদিন কেবল এক পাঞ্জাবি– এই গতানুগতিক চিন্তা কিন্তু এখন আর নেই। তবে ঈদের সকালটা জুড়ে থাকে পাঞ্জাবির আধিপত্য। বাকি দিন চলে টি শার্ট, পলো বা রেগুলার শার্ট পরেই।
চলতি ঈদ কালেকশনে টি-শার্টে দেখা যাচ্ছে ওভারসাইজড ফিট ও গ্রাফিক প্রিন্টের আধিপত্য। আড়ং ও ইয়েলোর কালেকশনেই মিলছে নেকলাইন ডিটেইল ও জিওমেট্রিক প্যাটার্নের ছোঁয়া। লিনেন ও কটন ব্লেন্ড ফেব্রিকের কারণে গরমের সময়েও এই পোশাকগুলো পরে স্বস্তি পাওয়া যাবে। রঙের দিক থেকেও এবার রয়েছে বেশ বৈচিত্র্য– হালকা নীল, সাদা, অলিভ গ্রিনের পাশাপাশি থাকছে বোল্ড নিওন শেড। দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে আর ব্র্যান্ডেড টি-শার্টের রেঞ্জ ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
পলো শার্টের ক্ষেত্রেও এবার এসেছে বেশ আরামদায়ক ও মার্জিত রূপ। কে ক্র্যাফট ও রিচম্যান এনেছে মিনিমাল ডিজাইন ও সাবটেল স্ট্রাইপের মেলবন্ধন। তরুণদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে প্যাস্টেল টোন, মিন্ট গ্রিন, ল্যাভেন্ডার ও স্যান্ড বেজ। ফেব্রিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মোইস্টার-উইকিং কটন ও পলিয়েস্টার ব্লেন্ড, যা এই চৈত্রের গরমেও ঘাম শোষণে সহায়ক। দাম ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
রেগুলার শার্টে চেকার্ড, ফ্লোরাল ও স্ট্রাইপড ডিজাইনে রয়েছে আধুনিক লুক। অঞ্জন’স ও দর্জি বাড়ি এনেছে ডুয়াল-টোন শার্ট, যেখানে কলার ও কাফে রয়েছে কনট্রাস্টিং রঙের ব্যবহার। কটন-সিল্ক ও লিনেন-রেয়ন ফেব্রিকের কারণে শার্টগুলোয় যুক্ত হয়েছে লাকজারি ফিল। রঙের দিক থেকে আর্থি টোন যেমন টেরাকোটা ও ম্যাট ব্লু, আবার ক্ল্যাসিক হোয়াইট-ব্ল্যাক কম্বিনেশনও জনপ্রিয়। দাম ব্র্যান্ডেড শার্টের ক্ষেত্রে ১ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা আর স্থানীয় বাজারে ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে মানসম্মত বিকল্প।
প্রতিটি ফ্যাশন হাউস ঈদ আয়োজনে সেজেছে ভিন্নভাবে। আড়ংয়ের ‘আরবান ঈদ’ কালেকশনে রয়েছে হ্যান্ড-এমব্রয়ডারি টি-শার্ট ও লিনেন শার্ট। কে ক্র্যাফট নজর দিয়েছে টেক্সচার্ড ফেব্রিক ও মেটালিক বাটন ডিটেইলে। ইয়েলোর কালেকশনে দেখা যাচ্ছে চেস্ট পকেট ও টোন অন টোন প্রিন্ট। সাশ্রয়ী দামের ট্রেন্ডি কালেকশন এনেছে টেক্সমার্ট ও বি-টেক। দাম ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে।
দেশের অন্যতম ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘লা রিভ’। এবারের ঈদে পুরুষের পোশাকে ‘মুভমেন্ট’ থিমে নতুন কালেকশন উন্মোচন করেছে। এ ব্যাপারে লা রিভের ডিজাইন ও ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঈদ মানেই সংযোগের আনন্দ– এই অনুভূতিকে রং, কাপড় ও নকশায় রূপ দেওয়াই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। মুভমেন্ট থিমের মাধ্যমে আমরা নতুন কিছু আনতে চেয়েছি, যা পরিধানকারীর মনে স্বাধীনতা ও আত্মপ্রকাশের বার্তা দেয়।’
এ বছর পুরুষদের ঈদ ট্রেন্ডে গুরুত্ব পেয়েছে আর্থি টোন্স, অর্গানিক রং এবং সফট প্যাস্টেল টোনস। এ ছাড়া লাল, নীল, কালো, অরেঞ্জ, টেরাকোটা এবং স্বর্ণালি রংও এই বছর ঈদ ফ্যাশনে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
লা রিভে পুরুষদের জন্য থাকছে নতুন ডিজাইনের শার্ট, পলো, টি-শার্ট, ডেনিম, চিনো ও প্যান্ট-পায়জামা। কিশোরদের জন্য রয়েছে বয়স উপযোগী উৎসবের পোশাক।
সব বয়সীর জন্য ট্রেন্ডি ফ্যাশন
বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদে সদ্য তরুণরা চাচ্ছেন একটু ফ্রেশ, কনফিডেন্ট আর বোল্ড লুক। ওভারসাইজ টি-শার্ট, গ্রাফিক প্রিন্ট আর প্যাস্টেল বা নিওন রঙের পলো শার্ট তাদের প্রথম পছন্দ। হালকা ফেব্রিক ও স্মার্ট কাটে তারা এবার আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। মধ্যবয়সী পুরুষ পছন্দ করছেন একটু মার্জিত অথচ আধুনিক লুক– সলিড কালার, মিনিমাল ডিজাইন আর আরামদায়ক টেক্সচারের রেগুলার শার্ট। আবার বয়স্কদের জন্য রয়েছে– ক্ল্যাসিক কটন শার্ট, আর্থি শেড আর লুজ কাটের শার্ট; যা আরাম ও সৌন্দর্য একসঙ্গে ধরে রাখে।
এ বছর ঈদ ট্রেন্ড নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার হোসাইন ইমন জানান, হালকা জিএসএমের ঢিলেঢালা পলো এখন ট্রেন্ডি। এই ট্রেন্ড আগামী দু’তিন বছর এভাবেই চলবে। আগে মানুষ টাইট পলো পরত; এখন একটু রিলাক্স ফিট চলছে। লাইট কালার, ডেনিম কলার বা স্লিভের ভ্যারিয়েশন জনপ্রিয় হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, টি-শার্টেও সলিড বেইজের ওপর সামনে ছোট লেখা বা লোগো আর পেছনে বড় প্রিন্ট বা সিনারি জেন জি ও জেন আলফাদের জন্য বেশ ট্রেন্ডি। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র জন য ক ল কশন ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন