Samakal:
2025-09-18@01:53:06 GMT

ছেলেদের ঈদ পোশাক

Published: 18th, March 2025 GMT

ছেলেদের ঈদ পোশাক

ছেলেদের ঈদ মানেই সারাদিন কেবল এক পাঞ্জাবি– এই গতানুগতিক চিন্তা কিন্তু এখন আর নেই। তবে ঈদের সকালটা জুড়ে থাকে পাঞ্জাবির আধিপত্য। বাকি দিন চলে টি শার্ট, পলো বা রেগুলার শার্ট পরেই।
চলতি ঈদ কালেকশনে টি-শার্টে দেখা যাচ্ছে ওভারসাইজড ফিট ও গ্রাফিক প্রিন্টের আধিপত্য। আড়ং ও ইয়েলোর কালেকশনেই মিলছে নেকলাইন ডিটেইল ও জিওমেট্রিক প্যাটার্নের ছোঁয়া। লিনেন ও কটন ব্লেন্ড ফেব্রিকের কারণে গরমের সময়েও এই পোশাকগুলো পরে স্বস্তি পাওয়া যাবে। রঙের দিক থেকেও এবার রয়েছে বেশ বৈচিত্র্য– হালকা নীল, সাদা, অলিভ গ্রিনের পাশাপাশি থাকছে বোল্ড নিওন শেড। দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে আর ব্র্যান্ডেড টি-শার্টের রেঞ্জ ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। 
পলো শার্টের ক্ষেত্রেও এবার এসেছে বেশ আরামদায়ক ও মার্জিত রূপ। কে ক্র্যাফট ও রিচম্যান এনেছে মিনিমাল ডিজাইন ও সাবটেল স্ট্রাইপের মেলবন্ধন। তরুণদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে প্যাস্টেল টোন, মিন্ট গ্রিন, ল্যাভেন্ডার ও স্যান্ড বেজ। ফেব্রিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মোইস্টার-উইকিং কটন ও পলিয়েস্টার ব্লেন্ড, যা এই চৈত্রের গরমেও ঘাম শোষণে সহায়ক। দাম ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। 
রেগুলার শার্টে চেকার্ড, ফ্লোরাল ও স্ট্রাইপড ডিজাইনে রয়েছে আধুনিক লুক। অঞ্জন’স ও দর্জি বাড়ি এনেছে ডুয়াল-টোন শার্ট, যেখানে কলার ও কাফে রয়েছে কনট্রাস্টিং রঙের ব্যবহার। কটন-সিল্ক ও লিনেন-রেয়ন ফেব্রিকের কারণে শার্টগুলোয় যুক্ত হয়েছে লাকজারি ফিল। রঙের দিক থেকে আর্থি টোন যেমন টেরাকোটা ও ম্যাট ব্লু, আবার ক্ল্যাসিক হোয়াইট-ব্ল্যাক কম্বিনেশনও জনপ্রিয়। দাম ব্র্যান্ডেড শার্টের ক্ষেত্রে ১ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা আর স্থানীয় বাজারে ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে মানসম্মত বিকল্প। 
প্রতিটি ফ্যাশন হাউস ঈদ আয়োজনে সেজেছে ভিন্নভাবে। আড়ংয়ের ‘আরবান ঈদ’ কালেকশনে রয়েছে হ্যান্ড-এমব্রয়ডারি টি-শার্ট ও লিনেন শার্ট। কে ক্র্যাফট নজর দিয়েছে টেক্সচার্ড ফেব্রিক ও মেটালিক বাটন ডিটেইলে। ইয়েলোর কালেকশনে দেখা যাচ্ছে চেস্ট পকেট ও টোন অন টোন প্রিন্ট। সাশ্রয়ী দামের ট্রেন্ডি কালেকশন এনেছে টেক্সমার্ট ও বি-টেক। দাম ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। 
দেশের অন্যতম ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘লা রিভ’। এবারের ঈদে পুরুষের পোশাকে ‘মুভমেন্ট’ থিমে নতুন কালেকশন উন্মোচন করেছে। এ ব্যাপারে লা রিভের ডিজাইন ও ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঈদ মানেই সংযোগের আনন্দ– এই অনুভূতিকে রং, কাপড় ও নকশায় রূপ দেওয়াই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। মুভমেন্ট থিমের মাধ্যমে আমরা নতুন কিছু আনতে চেয়েছি, যা পরিধানকারীর মনে স্বাধীনতা ও আত্মপ্রকাশের বার্তা দেয়।’ 
এ বছর পুরুষদের ঈদ ট্রেন্ডে গুরুত্ব পেয়েছে আর্থি টোন্স, অর্গানিক রং এবং সফট প্যাস্টেল টোনস। এ ছাড়া লাল, নীল, কালো, অরেঞ্জ, টেরাকোটা এবং স্বর্ণালি রংও এই বছর ঈদ ফ্যাশনে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 
লা রিভে পুরুষদের জন্য থাকছে নতুন ডিজাইনের শার্ট, পলো, টি-শার্ট, ডেনিম, চিনো ও প্যান্ট-পায়জামা। কিশোরদের জন্য রয়েছে বয়স উপযোগী উৎসবের পোশাক। 
সব বয়সীর জন্য ট্রেন্ডি ফ্যাশন 
বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদে সদ্য তরুণরা চাচ্ছেন একটু ফ্রেশ, কনফিডেন্ট আর বোল্ড লুক। ওভারসাইজ টি-শার্ট, গ্রাফিক প্রিন্ট আর প্যাস্টেল বা নিওন রঙের পলো শার্ট তাদের প্রথম পছন্দ। হালকা ফেব্রিক ও স্মার্ট কাটে তারা এবার আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। মধ্যবয়সী পুরুষ পছন্দ করছেন একটু মার্জিত অথচ আধুনিক লুক– সলিড কালার, মিনিমাল ডিজাইন আর আরামদায়ক টেক্সচারের রেগুলার শার্ট। আবার বয়স্কদের জন্য রয়েছে– ক্ল্যাসিক কটন শার্ট, আর্থি শেড আর লুজ কাটের শার্ট; যা আরাম ও সৌন্দর্য একসঙ্গে ধরে রাখে। 
এ বছর ঈদ ট্রেন্ড নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার হোসাইন ইমন জানান, হালকা জিএসএমের ঢিলেঢালা পলো এখন ট্রেন্ডি। এই ট্রেন্ড আগামী দু’তিন বছর এভাবেই চলবে। আগে মানুষ টাইট পলো পরত; এখন একটু রিলাক্স ফিট চলছে। লাইট কালার, ডেনিম কলার বা স্লিভের ভ্যারিয়েশন জনপ্রিয় হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, টি-শার্টেও সলিড বেইজের ওপর সামনে ছোট লেখা বা লোগো আর পেছনে বড় প্রিন্ট বা সিনারি জেন জি ও জেন আলফাদের জন্য বেশ ট্রেন্ডি। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র জন য ক ল কশন ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ, কোথায়, কখন, কোন দল

ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল।

বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।

প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।

জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সাড়ে চারটায় জামায়াত

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।জোহরের পর ইসলামী আন্দোলন

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আসরের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিস বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।

একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীর মধ্য এলাকায় একযোগে সাতটি দলের বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের সমাগমে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য নগরবাসী দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই সাত দল কর্মসূচি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ