অনেক সময় দেখা যায় যে হাত, পা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চার পাঁচ মাস ধরে চলতে থাকলে সেক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু দেখা যায় যে একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎ পড়ে গেছেন এরপর তার এক সাইড দুর্বল হয়ে গেছে, এটা স্ট্রোকের লক্ষণ। স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

অধ্যাপক ডা: এম বাহাদুর আলী মিয়া, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, ‘‘প্রথম কথা হলো স্ট্রোকটা হঠাৎ করে শুরু হবে। যেমন শরীরের একদিকে হাত ও পা একসঙ্গে দুর্বল হয়ে যেতে পারে, অচল হয়ে যেতে পারে, মুখ বেঁকে যেতে পারে। এ ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন মাথা ব্যথা, বমি হওয়া। স্ট্রোক হলে ব্রেনে রক্ত ক্ষরণ হয় এবং চাপ বেড়ে যায়। চাপ বেড়ে গেলে মাথা ব্যথাও হবে এবং চাপের কারণে  বমিও হবে । খিঁচুনিও দেখা দিতে পারে।’’

এই চিকিৎসক জানান, এই লক্ষণগুলো নির্ভর করে ব্রেন স্ট্রোক মস্তিষ্কের কোন জায়গায় হচ্ছে, তার ওপর। একটা জায়গায় হলে হাত পা দুর্বল হয়ে যাবে আবার আরেকটা জায়গায় হলে মুখ বেঁকে যাবে। দেখা যাবে যে আক্রান্ত ব্যক্তির আচার আচরণে সমস্যা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের ১৬ নির্দেশনা

গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

এমনটি হাত, পা চারটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ব্রেনের নিচের অংশে স্ট্রোক হলে হাত পা চারটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ