গর্ভের সন্তানের অটিজম আছে কি না, এ ধরনের টেস্ট কীভাবে করাব?
Published: 19th, March 2025 GMT
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। প্রত্যন্ত গ্রামে থাকি। আমি এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অনাগত সন্তানকে নিয়ে নানা রকম চিন্তা মাথায় ঘোরে। এখন নাকি গর্ভের সন্তানকে পরীক্ষা করে বোঝা যায় তার কোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা বা অটিজম আছে কি না। এ ধরনের টেস্ট করাতে চাইলে কীভাবে করাব? কত মাসে এই টেস্ট করানো সম্ভব? টেস্টে কোনো জটিলতা আছে কি না, তা–ও জানাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ: গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্য-ভাবনা খুবই ইতিবাচক একটি বিষয়। যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে খুব সহজে গর্ভকালীন মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানা যায়। গর্ভধারণের পর তিন থেকে চার মাস সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে আপনার গর্ভের সন্তানের কোনো ত্রুটি থাকলে কিছু পরীক্ষার সাহায্যে তা জেনে নিতে পারেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে উপকার পাবেন।
তবে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না। এতে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, আপনি একজন গাইনি ও ফিটোমেটারনাল মেডিসিন–বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নিলে আপনার অহেতুক ভাবনা কমে যাবে। যদি গর্ভের শিশুর কোনো ত্রুটি কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে, তা–ও শনাক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি এবং কিছু রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। যেমন রক্তের গ্রুপ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা, রক্তশূন্যতা কিংবা রক্তে ইনফেকশন আছে কি না—এগুলো দেখতে হবে। এসব পরীক্ষা খুব সহজে করা যায়। এসব পরীক্ষা করার কারণে কোনো জটিলতাও তৈরি হয় না; বরং গর্ভাবস্থায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করলে মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন— ডা.
প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা
ই-মেইল: [email protected]
ফেসবুক পেজ: fb.com/ProShastho
ডাকযোগে: প্র স্বাস্থ্য, প্রথম আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
আরও পড়ুনগর্ভকালীন সময়ে দুঃস্বপ্ন দেখা কি ভালো? স্বপ্ন নিয়ে এই তথ্যগুলো জানতেন?১৫ জানুয়ারি ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//