ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ও কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব এবং প্রবীণ সাংবাদিক স্বপন দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ দুই সিনিয়র সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, আলী হাবিব ও স্বপন দত্ত নিজ নিজ অবস্থানে সারাজীবন আপসহীন থেকে লড়াই করেছেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তারা যেমন দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ছিলেন, তেমনি সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা রক্ষায়ও ভূমিকা রেখেছেন।

বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি সৎ থাকার কারণে আলী হাবিব ও স্বপন দত্ত নিশ্চয়ই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পুরস্কৃত হবেন। নেতৃদ্বয় দুই পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজ কর্মস্থলে অসুস্থবোধ করলে আলী হাবিবকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে লাইফে সাপোর্টে রাখেন। রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, মা, এক ভাই, দুই বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাদার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

এদিকে রবিবার (১৬ মার্চ) সিনিয়র সাংবাদিক সবশেষ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) থেকে অবসর নেওয়া স্বপন দত্ত চিরবিদায় নেন। আগের দিন শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রবিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর লালবাগ শ্মশানে তার দাহ করা হয়।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ইউজ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন

আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।

প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন