আলী হাবিব ও স্বপন দত্তের মৃত্যুতে ডিইউজের শোক
Published: 19th, March 2025 GMT
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ও কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব এবং প্রবীণ সাংবাদিক স্বপন দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ দুই সিনিয়র সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, আলী হাবিব ও স্বপন দত্ত নিজ নিজ অবস্থানে সারাজীবন আপসহীন থেকে লড়াই করেছেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তারা যেমন দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ছিলেন, তেমনি সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা রক্ষায়ও ভূমিকা রেখেছেন।
বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি সৎ থাকার কারণে আলী হাবিব ও স্বপন দত্ত নিশ্চয়ই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পুরস্কৃত হবেন। নেতৃদ্বয় দুই পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজ কর্মস্থলে অসুস্থবোধ করলে আলী হাবিবকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে লাইফে সাপোর্টে রাখেন। রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, মা, এক ভাই, দুই বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাদার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
এদিকে রবিবার (১৬ মার্চ) সিনিয়র সাংবাদিক সবশেষ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) থেকে অবসর নেওয়া স্বপন দত্ত চিরবিদায় নেন। আগের দিন শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রবিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর লালবাগ শ্মশানে তার দাহ করা হয়।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।
এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।
মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’
মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে