গ্ল্যামার–নির্ভর নয়; বরং সব সময় ব্যতিক্রম চরিত্রে দেখা দেন ভূমি পেড়নেকর। তবে এবার মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি ছবিতে যেন সব ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। ভরপুর হাসির এই ছবিতে ভূমির সঙ্গে ছিলেন অর্জুন কাপুর ও রাকুল প্রীত সিং। মুদসসর আজিজ পরিচালিত ছবিটি বক্স অফিসে ভালো সাড়া পায়নি।

আমি জেদি মানুষ। কেউ যখন বলে যে আমার দ্বারা এই কাজ করা সম্ভব নয়, আমার মধ্যে তখন খুব জেদ পেয়ে বসে। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তখন যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারি। আমি যখন অভিনেত্রী হওয়ার কথা জানাই, অনেক আত্মীয়–পরিজন তখন এ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন। সত্যি বলতে, সেই সব নেতিবাচক শব্দ আমার ভেতরের আগুনকে আরও উসকে দিয়েছিল।ভূমি পেড়নেকর

তবে ভূমি খুশি, কেননা চরিত্রটি তাঁর মনে ধরেছে। মুম্বাইয়ের এক অভিজাত ক্লাবে প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে আড্ডায় ভূমি বলেন, ‘একজন দর্শক হিসেবে আমি কমেডি ছবি দেখতে বেশি পছন্দ করি। আর তাই কমেডি ছবির অংশ হতে পারলে বেশি মজা পাই। ব্যক্তি হিসেবে আমি বিন্দাস আর সহজ স্বভাবের। তবে “মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি” ছবিতে আমি প্রথমবার এ ধরনের কমেডি করার সুযোগ পেয়েছি। এ ধরনের চরিত্র সাধারণত মেয়েদের জন্য লেখা হয় না। রাকুল আর আমি এই ছবিতে অনেক কিছু করার সুযোগ পেয়েছি। কমেডির নানা রং, রূপ এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।’

‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ ছবিতে ভূমি অভিনীত চরিত্রের নাম ‘প্রভলীন ধিলোঁ’। এই ছবিতে নিজের স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁকে লড়াই, ঝগড়া করতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সম্পর্ককে ফিরে পেতে ভূমি কী এতটা মরিয়া হতে পারেন? হেসে অভিনেত্রী বলেন, ‘না বাবা। আমি খুবই অলস মানুষ। তাই “প্রভলীন”-এর মতো এতটা কখনোই পারব না। আমি শুধু একটা জিনিসের জন্য পরিশ্রম করতে পারি, সেটা হলো অভিনয়। অভিনয় ছাড়া বাকি অন্য কিছুর জন্য পরিশ্রম করতে আমি মোটেও পছন্দ করি না।’

‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ ছবির দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য