হঠাৎ ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়লে করণীয়
Published: 20th, March 2025 GMT
ঋতু পরিবর্তনের সময় হঠাৎ ত্বক পরিবর্তন হতে শুরু করে। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে ত্বকে। বাতাসে আদ্রতা যত বাড়তে থাকে ত্বক ততবেশি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকে দেখা দেয় রুক্ষতা ও শুষ্কতা। ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু রোদের তাপে নয় বরং দীর্ঘ সময় অফিসে কিংবা বাসায় এসিতে থাকলে ত্বক ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডি হাইড্রেটেড হয়ে পড়ে।
ভারতীয় ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ সৌভিক গোস্বামী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বর্তমানে প্রায় প্রতিটি অফিসেই এসি চলে। দিনে ৮-৯ ঘণ্টা এসির বাতাসে থাকার কারণে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। এতে সহজেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে। কারণ পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবেই ত্বকে বলিরেখা চলে আসে। যদিও প্রথমেই সমস্যাটি চোখে পড়ে না। যে কারণে পরিচর্যা করতে দেরি হয়ে যায়।’
ত্বক ডি-হাইড্রেশনে ভুগছে কিনা কীভাবে বুঝবেন:
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে চুলের যত্নে যা করতে পারেন
মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান ব্যবহার করলে যেসব ক্ষতি
১.
২. চোখের নিচে কালি পড়ে যাওয়া
৩. বলিরেখার সমস্যা
৪. ত্বক ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়া
৫. অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে গেলে করণীয়
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
২. দিনে এক বা দুই কাপের বেশি কফি পান করা যাবে না।
৩) গরমে ত্বকের পরিচর্যায় রাসায়নকি দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনীর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক পরিচর্যা করুন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?