নিজের চোখে সন্তানের বেড়ে ওঠা দেখতে চাই: পরমব্রত
Published: 20th, March 2025 GMT
ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন পরমব্রত চ্যাটার্জি-পিয়া চক্রবর্তী। গত মাসে বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন এই জুটি। কাজের ব্যস্ততার কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুব একটা সময় দিতে পারেননি। তবে সব ব্যস্ততা শিকায় তুলে স্ত্রী পাশে থাকার পরিকল্পনা করেছেন এই নির্মাতা।
ভারতীয় একটি একটি সংবাদমাধ্যমে পরমব্রত চ্যাটার্জি বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে আমি আর পিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছি, আমরা বাবা-মা হতে চলেছি। জুন মাসে হয়তো সন্তান জন্ম নেবে। এই সময় পিয়ার পাশে আমার বেশি থাকা দরকার ছিল। কাজের চাপে যেটা আমি পারিনি।”
সন্তানের বেড়ে ওঠা নিজের চোখে দেখতে চান পরমব্রত। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “নিজের চোখে সন্তানের বেড়ে ওঠা দেখতে চাই। একই সঙ্গে পিয়ার পাশে থেকে ওর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্তানপালনের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চাই। কারণ স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা মানেই স্বামীর দায়িত্ব শেষ নয়। বরং বেশি করে স্ত্রীকে আগলে রাখা। এই সময়ে ভালোমন্দ সব কিছুই স্ত্রী স্বামীর সঙ্গেই ভাগ করতে চায়।”
আরো পড়ুন:
কবীর সুমনকে কেন ‘জিহাদি’ বললেন তসলিমা?
মধুমিতার বিয়ে
আগামী মে মাস থেকে পিতৃত্বকালীন ছুটি নেবেন পরমব্রত। সন্তান জন্মের পরবর্তী দুই মাস ছুটিতে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
পরমব্রতর স্ত্রী সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। ২০০১ সালে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই সংগীতশিল্পী। ওই সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল, পরমব্রতর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে অনুপমের সংসার ভেঙেছে। যদিও তা অস্বীকার করেন পরমব্রত। ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর পিয়ার গলায় মা পরিয়ে সেই গুঞ্জনই বাস্তবে রূপ দেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’