হিন্দু ধর্ম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মো. আবু সায়েম নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে।

তিনি ঢাবির বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ঢাবিতে আরেফিন সিদ্দিকের দোয়া মাহফিল স্থগিত

ঢাবির বিজয় ৭১ হলের লিফটে ‘জয় বাংলা’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তারা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাবির বাংলা বিভাগের মো.

আবু সায়েম সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লাগাতার অশ্লীল, অরুচিকর কটূক্তি করে যাচ্ছে। তার এই ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় তথা সমগ্র দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে এবং সাম্প্রাদায়িক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করছে।

শিক্ষার্থীদের এ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রদানের জন্য উপাচার্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। এতে আহ্বায়ক হিসেবে সহকারী প্রক্টর ড. সান্টু বড়ুয়া এবং সদস্য সচিব হিসেবে আইসিটি সেলের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাক আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্য তিন সদস্য হচ্ছেন- সহকারী প্রক্টর ড. মুহা. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল এবং এসএম হলে প্রাধ্যক্ষ ড. আবদুল্লাহ আল মামুন। 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে এ তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ