বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্র বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিনি সম্মেলন কক্ষে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা রমজানের তাৎপর্য ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া ইফতারের পূর্বে দেশ, জাতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। 

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো.

শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। 

অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, কোষাধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হেলাল উদ্দীন, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মো. সামছুল আলম, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক মো. হাম্মাদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান সরকার প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের জীবিকার ব্যবস্থা হয়, তার প্রতি আমাদের সবাইকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা সবাই মিলে যদি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান আরও উন্নত হবে।”

তিনি বলেন, “রমজান আমাদের সংযম ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। এ শিক্ষাকে আমরা নিজেদের জীবন ও কর্মে প্রতিফলিত করতে পারলে শুধু ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, সামগ্রিকভাবে সমাজ ও দেশও উপকৃত হবে। সবার প্রতি আমার আহ্বান, আমরা যেন একে অপরের কল্যাণে কাজ করি এবং দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখি।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ