Prothomalo:
2025-07-30@16:23:13 GMT

শত বছরের ‘দারোগা মসজিদ’

Published: 21st, March 2025 GMT

সড়কের সঙ্গে লাগানো শানবাঁধানো পুকুর ঘাট। পাশে বিশাল চওড়া ফটক‌। ফটকের ওপর কারুকাজে নির্মিত চারটি মিনার। মাঝখানে একটি ফিরোজা রঙের গম্বুজ। মিনার-গম্বুজের সুউচ্চ ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে ১৪টি ছোট-বড় মিনার ও তিনটি গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ চোখে পড়বে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার রূপকানিয়া এলাকার এই মসজিদের নাম হেদায়েত আলী চৌধুরী মসজিদ। এলাকাবাসীর কাছে ‘দারোগা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত।

প্রায় ১১৫ বছর আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। চারপাশে কারুকাজ করা সীমানাদেয়াল‌। দক্ষিণ পাশে একটি মাদ্রাসা ও মধ্য রূপকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উত্তর পাশে মসজিদের সীমানাদেয়াল ঘেঁষে স্থানীয় মানুষের কবরস্থান। ২০০৬ সালে ফটক ও মসজিদের মাঝামাঝি খালি জায়গা সংস্কার করে নামাজ আদায়ের জন্য মূল মসজিদের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।

যে কারও দৃষ্টি কাড়ে মসজিদের প্রধান ফটকটি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মসজ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির মতো সরু গাজার শিশুদের হাত

গাজার নাসের হাসপাতালের শিশু অপুষ্টি ওয়ার্ডের শিশুরা একরকম নিশ্চল হয়ে পড়ে আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তীব্র ক্ষুধার কারণে ক্লান্ত হয়ে এই শিশুরা কাঁদতে পারেন না।

চিকিৎসকরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সবচেয়ে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা করানো জায়গাগুলোতে নীরবতা এখন সাধারণ ঘটনা। শিশুদের এই নীরবতা তাদের শরীর কাজ না করার লক্ষণ।

১০ মাস বয়সী মারিয়া সুহাইব রাদওয়ানের মা জেইনা রাদওয়ান বলেন, “সে সবসময় নিশ্চল হয়ে পড়ে থাকে, এভাবে শুয়ে থাকে... ডাক দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায় না।”

জেইনা তার শিশু সন্তানের জন্য দুধ বা পর্যাপ্ত খাবার খুঁজে পাচ্ছেন না এবং বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। কারণ তিনি নিজেও কম খাচ্ছেন, দিনে একবার খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন।

গত সপ্তাহে, রয়টার্সের সাংবাদিকরা নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পাঁচ দিন কাটিয়েছেন। এটি গাজার সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্ষুধার্ত শিশুদের চিকিৎসা করতে সক্ষম মাত্র চারটি কেন্দ্রের মধ্যে একটি। রয়টার্সের সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত থাকাকালেই তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৫৩ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছিল।

ইসরায়েল মার্চ মাসে ত্রাণের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে গাজার খাদ্য মজুদ ফুরিয়ে আসছে। খাদ্য মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে জুন এবং জুলাই মাসে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্যাপক দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দেয় এবং ক্ষীণকায় শিশুদের ছবি বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ৮৯ জন শিশুসহ ১৫৪ জন অপুষ্টিতে মারা গেছে। 

নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের শিশু ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ আল-ফাররা বলেন, “আমাদের শিশুদের জন্য দুধ দরকার। আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম দরকার। আমাদের কিছু খাবার দরকার, পুষ্টি বিভাগের জন্য বিশেষ খাবার। হাসপাতালের জন্য আমাদের সবকিছু দরকার।”

তিনি জানান,তার হাসপাতাল এখন অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা করছে যাদের আগে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, যেমন শিশু ওয়াতিন আবু আমুনাহ। প্রায় তিন মাস আগে সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করেছিল। জন্মের সময় তার ওজনের চেয়ে ১০০ গ্রাম কম এখন তার ওজন।

ফাররা বলেন, “গত তিন মাসে তার ওজন এক গ্রামও বাড়েনি। বরং শিশুটির ওজন কমেছে। পেশী সম্পূর্ণরূপে হ্রাস পেয়েছে। হাড়ের উপরে কেবল ত্বক রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে শিশুটি তীব্র অপুষ্টির পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এমনকি শিশুটির মুখ: তার গাল থেকে চর্বি টিস্যুও হারিয়ে গেছে।"

শিশুটির মা ইয়াসমিন আবু সুলতান শিশুটির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করে জানান, তার বাহু তার মায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির মতো মোটা

তিনি বলেন, “দেখতে পারছেন? এগুলো তার পা... তার বাহুগুলোর দিকে তাকান।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ