প্রথম ম্যাচে ২ বলে শূন্য, পরের ম্যাচে ৩ বলে শূন্য। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হাসান নেওয়াজের শুরুটা ছিল এমনই ভয়াবহ!

তৃতীয় ম্যাচে তাই রানের খাতা খোলাই ছিল পাকিস্তানের এ ওপেনারের প্রধান লক্ষ্য। আজ অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা তো তিনি করেছেনই, গড়েছেন দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও।

জোড়া শূন্য থেকে রেকর্ড এক শর মালিক হয়ে যাওয়া নেওয়াজের এই সাফল্য যে কোনো অর্থেই দুর্দান্ত। ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির মালিক হওয়ার পর অধিনায়ক সালমান আগা ও সহ-অধিনায়ক শাদাব খানকে আলাদাভাবে কৃতিত্ব দিয়েছেন এই ওপেনার।

নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তানের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষার। আক্রমণাত্মক দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সিরিজ। আর সেটা করার বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে ২২ বছর বয়সী নেওয়াজের ওপর। আক্রমণাত্মক খেলতে গেলে দ্রুত পতনের ঝুঁকিও থাকে। প্রথম দুই ম্যাচে সেটাই হয় নেওয়াজের বেলাতে। দুই ম্যাচেই আউট হন বড় শট খেলতে গিয়ে।

আজও বড় শট খেলেছেন। ২৩৩.

৩৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস নিয়ে আলাদা করে এই কথা বলার প্রয়োজনও পড়ে না! তবে আজকে ছিলেন একটু কৌশলী। গত দুই ম্যাচে ইনিংসের প্রথম বল থেকেই চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছেন।

আজ প্রথম ৬-৭টি বল সময় নিয়েছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফ্লিক শটে রানের খাতা খোলা প্রথম ৭ বলে করেন ৭ রান। এরপরই শুরু করেন ঝোড়ো ব্যাটিং। যে ঝড়ে ভেঙে যায় পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।  

আগের দুই ম্যাচে শূন্য নিয়ে কী ভাবছিলেন নেওয়াজ, ম্যাচশেষে জিজ্ঞেস করা হলে ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘একটা ভাবনা আমার মাথায় ছিল যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমে অন্তত একটা রান করতে হবে। সেটা পাওয়ার পর আমি স্বস্তি অনুভব করেছি এবং চাপ কেটে গেছে।’

অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে কৃতিত্ব দিয়ে নেওয়াজ বলেছেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছি, তা দেখে আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক (আগা সালমান) ও শাদাব আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, তারা বলেছেন যে আমি ম্যাচ উইনার, আর সেটাই আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি এবং আমার অধিনায়কের প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ।’

রেকর্ড সেঞ্চুরি করা নেওয়াজের প্রশংসা করেছেন কিউই অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলও, ‘কেউ যদি এভাবে খেলে, (জয়ের) কাজটা কঠিন হয়ে যায়। কৃতিত্বটা তাঁর (নেওয়াজ)।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ