এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ককে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছে দলটি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মিলন (২৭) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলা শাখার অধীন আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহর সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।

ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আলফাডাঙ্গা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনকে বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

জানা যায়, আলফাডাঙ্গার এক কলেজ শিক্ষার্থী তাঁকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গত ৬ মার্চ রাতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন ও তাঁর দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা করেন।
মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ পলাতক ছিলেন। গত সোমবার রাতে আব্দুল্লাহকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পর দিন মঙ্গলবার ফরিদপুর আদালতে পাঠায় স্থানীয় থানা পুলিশ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল আলফ ড ঙ গ গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ