ঈদে মেহেদিতে হাত রাঙানোর চিন্তা নিশ্চয় আছে? অনেকে হাতে মেহেদি লাগানোর আগে হাতের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মেনিকিউর বা ব্লিচ করে থাকেন। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেহেদি লাগানোর আগে পরে হাতে ব্লিচ করা যাবে না। তবে হাতে মেনিকিউর করা যাবে। এই আর্টিকেলে জানিয়ে দিচ্ছি হাতে মেহেদি লাগানোর আগে পরে কি কি করতে হবে।

মেহেদির নকশাগুলোতে জনপ্রিয় হচ্ছে, অ্যারাবিক, মানডালা, জলছাপ, চেক, ফ্লোরাল, মিনিমালিজম, ঝুমকা, চেইন, নূপুর, আংটি, ইমারত, ট্যাটু স্টাইল, গোল নকশা, আঙুল নকশা, পানপাতা এবং গম্বুজ। এর বাইরেও মৌলিক নকশায় সাজাতে পারেন হাত।

ধরনভেদে নকশা ভরাট বা হালকা হয়ে থাকে। ভরাট নকশার ক্ষেত্রে চিকন ও মোটা—দুই ধরনের লাইন ব্যবহার করতে হবে। লম্বা হাতের জন্য মানানসই হতে পারে মানডালা নকশা। শুধু নকশা পছন্দ করলেই হবে না। 

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে বাড়িতেই করে নিন পেডিকিউর

কর্মক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘সাময়িক অবসর’

মানতে হবে যেসব নিয়ম:
১.

হাতে মেহেদি লাগানোর তিন দিন আগে থেকে হাতে ব্লিচ করা যাবে না।
২. হাতে মেহেদি দেওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
৩.হাতে মরা কোষ থাকলে হাত মেনিকিউর করে নিতে পারেন।
৪. হাতে প্রাকৃতিক মেহেদি দিলে সারা রাত রেখে দিতে পারলে ভালো। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা রাখতে হবে। 
৫. হাত ধুয়ে পরিমাণমতো লেবুর রস ও চিনিমিশ্রিত তুলা দিয়ে আলতোভাবে ডিজাইনের ওপরে লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন। এতে মেহেদির রং গাঢ় এবং স্থায়ী হবে। 

বাজার থেকে কেনা মেহেদিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেকের ত্বক। তাই পুরো হাতে মেহেদি ব্যবহারের আগে হাতের কোথাও একটু মেহেদি লাগিয়ে দেখে নিতে পারেন কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। কোনো সমস্যা হলে মেহেদি লাগানো উচিত হবে না।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ