শিশুদেরও গ্লুকোমা হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কী
Published: 23rd, March 2025 GMT
চোখের জটিল রোগ গ্লুকোমা শিশুদেরও হতে পারে, যেমন জন্মগত গ্লুকোমা। গ্লুকোমা হলে চোখের প্রেশার বা চাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকে। ফলে রেটিনাল নার্ভ বা রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অন্ধত্ব নেমে আসে। একটি শিশু গ্লুকোমা নিয়েও জন্মগ্রহণ করতে পারে।
এ শিশুর জন্মের পর চোখের আকার বড় হয় অন্য শিশুদের তুলনায়। খুব ডাগর চোখ ও চোখজুড়ে কালো মণির অংশ বেশি। কর্নিয়াটা মনে হবে চোখজুড়েই রয়েছে। অনেক ভারী ও ভেজাভাব থাকে। চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও আলো সহ্য করতে পারে না। এক দিনের শিশুও আলো দেখতে পারে না। আলো দেখলেই সে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এ ছাড়া অনেক শিশুর অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে। ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে জন্মগত নয়; অন্য কোনো কারণে যেমন স্টেরয়েডের জন্য গ্লুকোমা হতে পারে।
শিশুদের চোখের পরীক্ষা করা কঠিন, চোখের প্রেশার মাপাও কঠিন। এসব ঝামেলায় অনেক অভিভাবক চিকিৎসকের কাছে আসেন না। বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিজেরাই ব্যবহার করেন। এটি খুব খারাপ। মনে রাখবেন, গ্লুকোমা অন্ধত্বের কারণ।
লক্ষণ● শিশুর চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
● সরাসরি আলোর দিকে তাকাতে পারে না।
● চোখের মণি ঘোলা হয়ে যায়। সমস্যা বাড়তে থাকলে দেখা যায়, মণি বড় হয়ে গেছে।
● চোখের প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে চোখের যে নালিটা মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, সেটিতে চাপ পড়ে ও নষ্ট হয়ে যায়। এটি নষ্ট হলে স্থায়ীভাবে অন্ধত্বের দিকে চলে যায়।
শনাক্তকরণ● চোখের ইন্ট্রাকুলার চাপ মেপে দেখা; যাকে বলে টনোমেট্রি।
● অপটিক নার্ভ ড্যামেজ পরীক্ষা। এতে ডায়ালেটেড আই এক্সামিনেশন ও ইমাজিং টেস্ট করা হয়।
● ভিশন লস পরীক্ষা বা ভিজুয়াল ফিল্ড টেস্ট।
● কর্নিয়ার পুরুত্ব পরীক্ষা। একে বলে প্যাকিমেট্রি।
● চোখের ড্রেনেজ অ্যাঙ্গেল পরীক্ষা; যাকে বলে গোনিওস্কোপি।
চিকিৎসা● ওষুধ প্রয়োগ কিংবা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চোখের ড্রপের মাধ্যমে বাচ্চাদের গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।
● আরও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে আছে লেজার থেরাপি, ফিলটারিং সার্জারি, ড্রেনেজ টিউবস, মিনিমালি ইনভ্যাসিভ গ্লুকোমা সার্জারি।
রোগীর সমস্যা বুঝে ও পরীক্ষা করে তবেই চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন, কোন পদ্ধতিটি কার্যকর হবে। চিকিৎসা করতে অহেতুক দেরি করলে দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরে অস্ত্রোপচার করেও লাভ হয় না। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই শিশুর চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় মনে হলেই শিশু চক্ষু গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অধ্যাপক ডা.
ইফতেখার মো. মুনির, পরিচালক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট, বাংলাদেশ আই হসপিটাল, মালিবাগ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা