Samakal:
2025-05-01@11:44:01 GMT

আইইএলটিএসে ভালো স্কোর পেতে

Published: 23rd, March 2025 GMT

আইইএলটিএসে ভালো স্কোর পেতে

l ভোকাবুলারি বা শব্দের ওপর দখল থাকা যে কোনো ভাষা রপ্ত করা কিংবা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
l ভোকাবুলারির দক্ষতা অর্জন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। কেউ বলতে পারবে না, আমার ভোকাবুলারি শেখা শেষ। কারণ যে কোনো ভাষার শব্দভান্ডার একদিকে যেমন বিশাল, অন্যদিকে প্রত্যেকটি ভাষাতেই ব্যবহারের উপযোগী নিত্যনতুন শব্দের আগমন ঘটে বা বিদ্যমান শব্দের নতুন ব্যবহারের দেখা মেলে।
l কত দিন ধরে প্রস্তুতি নেবেন, এটা আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। অন্তত তিন মাস সময় হাতে রাখা ভালো। এ ছাড়া স্পিকিংয়ের জন্য বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। এটাও বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা করা উচিত।
l বাক্যগুলোতে কী তথ্য দেওয়া হচ্ছে, লিসেনিং সেকশনে তা কান পেতে শুনতে হবে। বিভিন্ন ধরনের উচ্চারণ শুনে ভয় না পেয়ে দেখুন, কী বলছে বুঝতে পারছেন কিনা। বুঝতে পারাটাই অর্ধেক যুদ্ধজয়।
l কোনো একটি শব্দ শেখার সময় সেই শব্দের আরও কয়েকটি সমার্থক শব্দ শিখে রাখা।  নিজেদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করার জন্য বরং অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
l লেখায় বিস্তৃত শব্দের ব্যবহার ভালো স্কোর পেতে সাহায্য করে, আর তা এক শব্দ থেকে অন্য শব্দের অর্থগত সূক্ষ্মতম পার্থক্যে মনোযোগ দিয়ে শব্দ শেখার মাধ্যমেই সম্ভব, ভালোভাবে অর্থ না জেনে সমার্থক শব্দের তালিকা মুখস্থ করে সম্ভব না।
l আইইএলটিএস লিসেনিং পরীক্ষা মানে শুধু শুনতে পাওয়ার সামর্থ্য যাচাই হয়, ভাবলে ভুল হবে। সূক্ষ্মভাবে, কার্যকরীভাবে শুনতে পারার দক্ষতা যাচাই করা হয়।
l স্পিকিংকে যমের মতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে ভয় পেলে চলবে না। মক টেস্ট দেওয়ার সময় স্পিকিং মক দিতে এবং মক পরীক্ষকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
l স্পিকিংয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে এক মিনিট প্রস্তুতি নিয়ে দুই মিনিট উপস্থিত বক্তৃতা অংশটির জন্য আয়নার সামনে, বন্ধুদের সঙ্গে ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে চর্চা করলে মানুষের সামনে কথা বলার জড়তা কেটে যাবে।
l কতটা বিস্তারিত ও সুসংগঠিতভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছে, ব্যাকরণ কতটা সঠিক, শব্দভান্ডার কেমন এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। তাই একটি ভালো উত্তরে পরিপূর্ণ তথ্য থাকার পাশাপাশি সুসংগতভাবে সঠিক ব্যাকরণে লিখতে হবে, ভালো শব্দ বাছাই করতে হবে।
l চেষ্টা করতে হবে প্রচুর পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার। প্রতিদিন সময় নিয়ে গবেষণা জাতীয় নিবন্ধ পড়তে হবে। পড়ার সময় বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনায় কী জাতীয় শব্দের ব্যবহার করা হচ্ছে, তার দিকে নজর দিতে হবে, সেগুলোর বহুমাত্রিক ব্যবহার শিখতে হবে।
l নিয়মিত এমন চর্চা করতে পারলে, শুধু রিডিং মডিউলে ভোকাবুলারির দক্ষতা না, সামগ্রিকভাবেই আইইএলটিএস পরীক্ষায় অনেক ভালো করা সম্ভব।
lকোনো রকম গ্রামার ও বানান ভুল করা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে সাধারণ শব্দ ব্যবহার না করে তার প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে। একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করার ফলে ভোকাবুলারির দুর্বলতা প্রকাশ পায়, যা অনেক সময় মার্কস কমিয়ে দেয়। তাই নতুন শব্দ ব্যবহার করে লেখাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে।v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ