l ভোকাবুলারি বা শব্দের ওপর দখল থাকা যে কোনো ভাষা রপ্ত করা কিংবা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
l ভোকাবুলারির দক্ষতা অর্জন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। কেউ বলতে পারবে না, আমার ভোকাবুলারি শেখা শেষ। কারণ যে কোনো ভাষার শব্দভান্ডার একদিকে যেমন বিশাল, অন্যদিকে প্রত্যেকটি ভাষাতেই ব্যবহারের উপযোগী নিত্যনতুন শব্দের আগমন ঘটে বা বিদ্যমান শব্দের নতুন ব্যবহারের দেখা মেলে।
l কত দিন ধরে প্রস্তুতি নেবেন, এটা আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। অন্তত তিন মাস সময় হাতে রাখা ভালো। এ ছাড়া স্পিকিংয়ের জন্য বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। এটাও বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা করা উচিত।
l বাক্যগুলোতে কী তথ্য দেওয়া হচ্ছে, লিসেনিং সেকশনে তা কান পেতে শুনতে হবে। বিভিন্ন ধরনের উচ্চারণ শুনে ভয় না পেয়ে দেখুন, কী বলছে বুঝতে পারছেন কিনা। বুঝতে পারাটাই অর্ধেক যুদ্ধজয়।
l কোনো একটি শব্দ শেখার সময় সেই শব্দের আরও কয়েকটি সমার্থক শব্দ শিখে রাখা। নিজেদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করার জন্য বরং অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
l লেখায় বিস্তৃত শব্দের ব্যবহার ভালো স্কোর পেতে সাহায্য করে, আর তা এক শব্দ থেকে অন্য শব্দের অর্থগত সূক্ষ্মতম পার্থক্যে মনোযোগ দিয়ে শব্দ শেখার মাধ্যমেই সম্ভব, ভালোভাবে অর্থ না জেনে সমার্থক শব্দের তালিকা মুখস্থ করে সম্ভব না।
l আইইএলটিএস লিসেনিং পরীক্ষা মানে শুধু শুনতে পাওয়ার সামর্থ্য যাচাই হয়, ভাবলে ভুল হবে। সূক্ষ্মভাবে, কার্যকরীভাবে শুনতে পারার দক্ষতা যাচাই করা হয়।
l স্পিকিংকে যমের মতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে ভয় পেলে চলবে না। মক টেস্ট দেওয়ার সময় স্পিকিং মক দিতে এবং মক পরীক্ষকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
l স্পিকিংয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে এক মিনিট প্রস্তুতি নিয়ে দুই মিনিট উপস্থিত বক্তৃতা অংশটির জন্য আয়নার সামনে, বন্ধুদের সঙ্গে ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে চর্চা করলে মানুষের সামনে কথা বলার জড়তা কেটে যাবে।
l কতটা বিস্তারিত ও সুসংগঠিতভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছে, ব্যাকরণ কতটা সঠিক, শব্দভান্ডার কেমন এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। তাই একটি ভালো উত্তরে পরিপূর্ণ তথ্য থাকার পাশাপাশি সুসংগতভাবে সঠিক ব্যাকরণে লিখতে হবে, ভালো শব্দ বাছাই করতে হবে।
l চেষ্টা করতে হবে প্রচুর পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার। প্রতিদিন সময় নিয়ে গবেষণা জাতীয় নিবন্ধ পড়তে হবে। পড়ার সময় বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনায় কী জাতীয় শব্দের ব্যবহার করা হচ্ছে, তার দিকে নজর দিতে হবে, সেগুলোর বহুমাত্রিক ব্যবহার শিখতে হবে।
l নিয়মিত এমন চর্চা করতে পারলে, শুধু রিডিং মডিউলে ভোকাবুলারির দক্ষতা না, সামগ্রিকভাবেই আইইএলটিএস পরীক্ষায় অনেক ভালো করা সম্ভব।
lকোনো রকম গ্রামার ও বানান ভুল করা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে সাধারণ শব্দ ব্যবহার না করে তার প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে। একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করার ফলে ভোকাবুলারির দুর্বলতা প্রকাশ পায়, যা অনেক সময় মার্কস কমিয়ে দেয়। তাই নতুন শব্দ ব্যবহার করে লেখাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে।v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বৃত্তি: আবেদনের সময় বৃদ্ধি, প্রয়োজন টোয়েফলে ৮০ কিংবা আইইএলটিএসে ৭
আমেরিকা নানা বৃত্তি ও ফেলোশিপের মধ্য অন্যতম একটি হলো ‘ফুলব্রাইট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট’ (এফএলটিএ) প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। যারা কোনো কারণে আবেদন করতে পারেননি, তাদের আরও ১৫ দিন সময় দিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি তরুণ যাঁরা শিক্ষকতা করছেন (আমেরিকার স্টাডিজ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া, আমেরিকান/ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ভাষার প্রশিক্ষক) তাঁরা ফুলব্রাইট এফএলটিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইই) এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে এফএলটিএ স্কলারশিপের মাধ্যমে দেশটিতে শিক্ষকতার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় শিক্ষকতার সুযোগ দিতেই বৃত্তি। যাঁরা স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করতে চান, সেসব বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর জন্য এটি একটি সুযোগ। বাংলাদেশি যেসব তরুণ শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত আছেন (আমেরিকার স্টাডিজ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া, আমেরিকান/ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ভাষার প্রশিক্ষক), তাঁরা ফুলব্রাইট এফএলটিএ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা, সেমিস্টারে কোর্স দুটি
ফুলব্রাইট এফএলটিএ প্রোগ্রামে আমেরিকায় যাওয়া ফেলোরা সেখানকার শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শেখাবেন। ফেলো এবং তাঁদের শিক্ষার্থীদের একে অপরের সংস্কৃতি ও সমাজ সম্পর্কে জানার একটি অনন্য সুযোগ থাকবে এ প্রোগ্রামে। ফুলব্রাইটে অংশগ্রহণকারীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ভাষা ক্লাসে সহায়তা করতে পারবেন। প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে দুটি কোর্স করবেন। এর মধ্যে একটি আমেরিকান স্টাডিজের। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশি শিক্ষাবিদেরা আমেরিকার এই শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রমে অংগ্রহণ করে আসছেন।
ফুলব্রাইট নিয়ে আমেরিকায় পড়ার সুযোগ, টোফেলে ৮০ বা আইইএলটিএসে ৭ স্কোর থাকতে হবে