সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখলে অভ্যুত্থান সফল হতো না: রাশেদ খাঁন
Published: 24th, March 2025 GMT
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। আজ সোমবার যশোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যদি সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখতো, তাহলে অভ্যুত্থান সফল হতো না। যখন সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল আওয়ামী লীগে দিকে, ফ্যাসিস্ট পুলিশের দিকে তাক করেছিল তখনই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। এখন সেই সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
যারা সেনাপ্রধানকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন তাদের উদ্দেশে রাশেদ খাঁন বলেন, একটি পক্ষ সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিয়ে এক-এগারো তৈরির চক্রান্ত করছে। জনগণকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করা হচ্ছে। এই চক্রান্তের সঙ্গে দেশীয় ও বিদেশি চক্রান্তকারীরা জড়িত। তাদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এই সেনাবাহিনীকে শেখ হাসিনা বিতর্ক করেছে। তাই সেনাপ্রধানকে বলব, সেনাবাহিনীতে সংস্কারের প্রয়োজন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি এ বি এম আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, গণঅধিকার পরিষদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ জ ল ই অভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন এই সরক র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর আলোকে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। শুরুতে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা একটি অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। এই পরিবর্তনকে অর্থবহ করতে কেবল সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।’
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এই আলোচনা কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজপথে ও রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনের চাপে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন দমন-পীড়ন চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, সেটি আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার সত্বেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। ব্যক্তি দল গোষ্ঠীর চেয়ে জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রের স্বার্থকে আমরা যেন প্রাধান্য দেই এটিই আমাদের চাওয়া।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।