লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক অটোরিকশাচালক (৫০) নিহত হয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিক তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় শিশু-নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ইফতি, আব্বাস উদ্দিন, রিপন, সাকিব, বিবি কুলসুম ও শিশু ওমর ফারুক। তারা কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করুনানগর বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ওই অটোরিকশাচালক হাজিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে চালকসহ ৭ জন আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক অটোরিকশাচালককে মৃত ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, ‘‘নিহতের মরদেহ মর্গে আছে। এ ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় এক জন মারা গেছেন। ঘাতক পিকআপটি জব্দ রয়েছে। তবে, চালক পালিয়ে গেছেন।’’

ঢাকা/লিটন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ