এ আর মুরুগাদোস নির্মিত আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘গজনি’। ২০০৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল এটি। সিনেমাটিতে সঞ্জয় সিংহানিয়া চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। আর তার প্রেমিকা কল্পনা চরিত্রে অভিনয় করেন অসিন।

ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় সঞ্জয়ের সামনে গজনির হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন কল্পনা। ধনী ব্যবসায়ী সঞ্জয় মডেল কল্পনার প্রেমে পড়েন। সঞ্জয়ের আসল পরিচয় জানতেন না কল্পনা। বরং তাকে সচীন নামে চিনতেন। সর্বশেষ সঞ্জয়ের আসল পরিচয় না জেনেই মারা যান কল্পনা। এটা কেন করলেন পরিচালক? এ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, এখনো হয়। কিন্তু পরিচালক এই সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন এ আর মুরুগাদোস।

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে এ আর মুরুগাদোস নির্মিত ‘সিকান্দার’ সিনেমা। এ নিয়ে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এই আলাপচারিতায় উঠে আসে ‘গজনি’ সিনেমার প্রসঙ্গ। সেখানে কথা বলেন তিনি।
 
এ আর মুরুগাদোস বলেন, “আমি যখন চিত্রনাট্য লিখছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, ‘কল্পনা যদি জানতে পারে সেই আসল সঞ্জয়, তাহলে সে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে?’ তারপর আমার মনে হয়, চিত্রনাট্যে এই ছোট্ট সংযোজন গজনির প্রতি সঞ্জয়ের প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেবে।”

সিনেমায় গজনির হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ার আগে কল্পনা সঞ্জয়কে টাকাও দেয়। কল্পনার অভিব্যক্তি সঞ্জয় অর্থাৎ আমির খানকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। দর্শকদের আবেগ-অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পরিচালক নির্দোষ কল্পনাকে ‘যন্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

পরিচালক এ আর মুরুগাদোস বলেন, “নিজের পরিচয় নিয়ে কল্পনাকে অনেক কিছু বলার ছিল সঞ্জয়ের। কিন্তু তা করতে পারেননি। কারণ সঞ্জয় বলার আগেই কল্পনা কেবল মারাই যাননি, বরং সেই ঘটনার পর ‘শর্ট টার্ম মেমরি লস’ হয়। এই দুটি জিনিস তার প্রতিশোধ নেওয়ার আবেগকে আরো উসকে দেয় এবং এটিকে বাস্তবে রূপ দেন।”

আমির খানের পরিচয় জানতে না পারা গল্পে ধোঁয়াশা তৈরি করে। এ বিষয়ে নির্মাতা এ আর মুরুগাদোস বলেন, “কল্পনা যদি আমির খানের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারতেন, তাহলে এই দৃশ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম না। সিনেমাটি মুক্তির পর ১৬ বছর কেটে গেছে। অথচ এখনো এ নিয়ে আলোচনা হয়। একজন লেখক-পরিচালক হিসেবে এটিকে একটি ভালো কাজ হিসেবেই দেখি।”

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এ আর ম র গ দ স আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকি ভাতা, বিমা ও পেনশন চালুর পরামর্শ

দেশে গণমাধ্যমে কর্মরত সব সাংবাদিকের জন্য ঝুঁকি ভাতা, বিমা ও পেনশন চালুর পরামর্শ দিয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া বিদ্যমান শ্রম আইনে ‘সংবাদপত্র শ্রমিক’-এর সংজ্ঞা সম্প্রসারণ করে ‘গণমাধ্যম শ্রমিক বা কর্মী’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সব ধরনের সংবাদমাধ্যমের (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট) সাংবাদিক ও কর্মীদের জন্য ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর আদলে পৃথক আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান শ্রম আইনে পৃথক অধ্যায় সংযোজনের কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে সংজ্ঞা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, বিদ্যমান শ্রম আইনে ‘সংবাদপত্র শ্রমিক’-এর সংজ্ঞা সম্প্রসারণ করে ‘গণমাধ্যম শ্রমিক বা কর্মী’ করা এবং অনলাইন ও ব্রডকাস্ট অর্থাৎ রেডিও, টেলিভিশনসহ সব ধরনের গণমাধ্যমকর্মীদের এতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ক্যামেরার পেছনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সবাইকে চিত্র সাংবাদিক হিসেবে অবহিত করার পরামর্শ দিয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন।

ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সব সাংবাদিকের জন্য নিয়োগপত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে কমিশন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও ছুটির বিধানসমূহ কার্যকর করা এবং নারী সাংবাদিকের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের বেতন নিয়মিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ বা মালিককে প্রতি মাসের বেতন পরিশোধের নথি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কাছে জমা দেওয়ার বিধান করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে সংস্কার করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কারের মাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সব সাংবাদিকের কল্যাণে প্রকৃত অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ