গজনি: সঞ্জয়ের আসল পরিচয় না জেনেই কেন মারা যান কল্পনা?
Published: 25th, March 2025 GMT
এ আর মুরুগাদোস নির্মিত আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘গজনি’। ২০০৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল এটি। সিনেমাটিতে সঞ্জয় সিংহানিয়া চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। আর তার প্রেমিকা কল্পনা চরিত্রে অভিনয় করেন অসিন।
ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় সঞ্জয়ের সামনে গজনির হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন কল্পনা। ধনী ব্যবসায়ী সঞ্জয় মডেল কল্পনার প্রেমে পড়েন। সঞ্জয়ের আসল পরিচয় জানতেন না কল্পনা। বরং তাকে সচীন নামে চিনতেন। সর্বশেষ সঞ্জয়ের আসল পরিচয় না জেনেই মারা যান কল্পনা। এটা কেন করলেন পরিচালক? এ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, এখনো হয়। কিন্তু পরিচালক এই সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন এ আর মুরুগাদোস।
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে এ আর মুরুগাদোস নির্মিত ‘সিকান্দার’ সিনেমা। এ নিয়ে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এই আলাপচারিতায় উঠে আসে ‘গজনি’ সিনেমার প্রসঙ্গ। সেখানে কথা বলেন তিনি।
এ আর মুরুগাদোস বলেন, “আমি যখন চিত্রনাট্য লিখছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, ‘কল্পনা যদি জানতে পারে সেই আসল সঞ্জয়, তাহলে সে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে?’ তারপর আমার মনে হয়, চিত্রনাট্যে এই ছোট্ট সংযোজন গজনির প্রতি সঞ্জয়ের প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেবে।”
সিনেমায় গজনির হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ার আগে কল্পনা সঞ্জয়কে টাকাও দেয়। কল্পনার অভিব্যক্তি সঞ্জয় অর্থাৎ আমির খানকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। দর্শকদের আবেগ-অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পরিচালক নির্দোষ কল্পনাকে ‘যন্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
পরিচালক এ আর মুরুগাদোস বলেন, “নিজের পরিচয় নিয়ে কল্পনাকে অনেক কিছু বলার ছিল সঞ্জয়ের। কিন্তু তা করতে পারেননি। কারণ সঞ্জয় বলার আগেই কল্পনা কেবল মারাই যাননি, বরং সেই ঘটনার পর ‘শর্ট টার্ম মেমরি লস’ হয়। এই দুটি জিনিস তার প্রতিশোধ নেওয়ার আবেগকে আরো উসকে দেয় এবং এটিকে বাস্তবে রূপ দেন।”
আমির খানের পরিচয় জানতে না পারা গল্পে ধোঁয়াশা তৈরি করে। এ বিষয়ে নির্মাতা এ আর মুরুগাদোস বলেন, “কল্পনা যদি আমির খানের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারতেন, তাহলে এই দৃশ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম না। সিনেমাটি মুক্তির পর ১৬ বছর কেটে গেছে। অথচ এখনো এ নিয়ে আলোচনা হয়। একজন লেখক-পরিচালক হিসেবে এটিকে একটি ভালো কাজ হিসেবেই দেখি।”
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এ আর ম র গ দ স আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।
গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।
সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।
ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।