Prothomalo:
2025-11-03@19:04:09 GMT

নারীরা কীভাবে ইতিকাফ করবেন

Published: 25th, March 2025 GMT

ইতিকাফ অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। নারীদের জন্য ইতিকাফ সহজও বটে। নারীরাও ইতিকাফ করতে পারেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করেছেন। তার ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০২৬; মুসলিম, হাদিস: ১,১৭২)

তবে কারও স্বামী এমন অসুস্থ বা অক্ষম হন যে তার নিবিড় শুশ্রূষার প্রয়োজন, তাহলে তার ইতিকাফে বসা উচিত হবে না। কিংবা কারও ছোট ছোট সন্তান থাকলে যদি দেখা দেখার কেউ না থাকে, তবে তারও উচিত হবে না ইতিকাফে বসা। (আহকামে রমজান ও জাকাত, ৬৪)

নারীর ইতেকাফের বিধান

রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ নারীর জন্য মোস্তাহাব। রাসুলের স্ত্রীরা ইতিকাফ পালনের জন্য রাসুলের অনুমতি চেয়েছেন। এতে প্রমাণ হয়, ইতিকাফের জন্য অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া জরুরি। নারীদের ইতেকাফের পরিবেশ হতে হবে পুরুষের সংস্পর্শ থেকে দুস্তর ব্যবধানে। (আলবানি, কিয়ামু রমজান, ২৯)

ইতিকাফের জন্য বিবাহিতা নারীর স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর উচিত যুক্তিসংগত ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্ত্রীর ইতিকাফ বারণ না করা, তাদের ইতিকাফের সওয়াব থেকে বঞ্চিত না করা। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৭৪; ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪২৯)

অনুমতি দেওয়ার পর স্বামী স্ত্রীকে ইতিকাফে বাধা দিতে পারবে না। বাধা দালে স্ত্রীর সে বাধা মান্য করা কর্তব্য নয়। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪২৯; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি, ১/২১১)

আরও পড়ুনমহানবীর (সা.

) ইতিকাফ২০ মার্চ ২০২৫

কোথায় ইতিকাফ করবেন

নারীরা ইতিকাফ করবেন ঘরের নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে। এমন নির্ধারিত স্থান না থাকলে ইতেকাফের জন্য একটি স্থান নির্ধারিত করে নেবেন। তবে মসজিদে ইতিকাফ করাও তাদের জন্য বৈধ—যেভাবে রাসুলের (সা.) সঙ্গে তাঁর স্ত্রীরা মসজিদে নববিতে ইতিকাফ করেছেন। (হেদায়া, ১/২৩০; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/২১১; বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৮২)

নির্ধারিত স্থান থেকে মানবিক প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারবেন না, তাহলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ, পেশাব-পায়খানা বা অজুর জন্য বাইরে যেতে পারবেন। খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার আনার জন্য বাইরে যেতে পারবেন। পানাহারও সেই নির্ধারিত স্থানে করতে হবে। (হেদায়া, ১/২৩০)

ইতিকাফের স্থান থেকে অন্যদের সাংসারিক কাজের নির্দেশনা দেওয়া যাবে। তবে বাইরে যাওয়া যাবে না। রান্নার লোক না থাকলে ইতেকাফের স্থানে বসে রান্না করা সম্ভব হলে করা যাবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া, ১৫/৩৩৪)

দরকার হলে সেখানে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৮২; ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৩৫)

আরও পড়ুনরমজানে ইতিকাফের নিয়ম ২৯ মার্চ ২০২৪

তিনটি জরুরি বিধান

১. ইতিকাফ অবস্থায় দিন-রাতে কখনো স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে না। তবে তিনি চাইলে পাশে থাকতে পারবেন। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৮৫; ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৪২)

২. শিরক বা কুফরি কাজে লিপ্ত হলে এবং অজ্ঞান বা পাগল হয়ে গেলে বা মাতাল হয়ে পড়লে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।

৩. ঋতু হলে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে বা গর্ভপাত হলে ইতিকাফ বহাল থাকবে না। (আহসানুল কাতাওয়া, ৪/৫০২)

আরও পড়ুন ইতিকাফ আল্লাহর ঘরে, আল্লাহর সঙ্গে০৪ এপ্রিল ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ব প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৬টিতে বাকি, মহাসড়ক অবরোধ
  • ‘মায়ের ডাক’–এর সানজিদাকে ঢাকায় প্রার্থী করছে বিএনপি
  • ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ঢাকার প্রার্থী যারা 
  • ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস
  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার