এই ঈদে আনন্দ উদযাপন হোক কানেক্টেড থেকে
Published: 25th, March 2025 GMT
ঈদ মানেই যেন একসাথে কাটানো আনন্দের সময়; পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন পর একত্রিত হওয়া, বন্ধুদের সাথে পছন্দের জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটিয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তোলা! ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই তাই নতুন জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ সময় বিদেশে থাকা আমাদের অনেক প্রবাসী দেশে থাকা তাদের প্রিয়জনের সাথে সবসময় কানেক্টেড থাকতে চান। ফলে, প্রবাসী ও তাদের পরিবারের জন্য ডিজিটাল কানেকশন থাকাটা এই আনন্দের সময়ে অত্যন্ত জরুরি হয়ে দেখা দেয়।
রমজান ও ঈদুল ফিতরের এই বিশেষ সময়ে ব্যবহারকারীরা যেন সবসময় তাদের প্রিয়জনের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারেন তার সব আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। এবারের ঈদকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে এক্সক্লুসিভ ভয়েস ও ইন্টারনেট বান্ডেল নিয়ে এসেছে অপারেটরটি। ব্যবহারকারীর আনন্দ বহুগুণ করতে এসব প্যাক আরও বেশি সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এখন মাত্র ১৯৮ টাকায় ৭ দিন মেয়াদী ১০ জিবি ইন্টারনেট ও ১০০ মিনিট টকটাইম কিনতে পারবেন। পাশাপাশি, ২০ দিন মেয়াদী ১২ জিবি ইন্টারনেট ও ২০০ মিনিট টকটাইম পাবেন মাত্র ৩৯৮ টাকায় এবং ২০ দিন মেয়াদী ২০ জিবি ইন্টারনেট ও ৩০০ মিনিট টকটাইম পাবেন মাত্র ৪৯৮ টাকায়। এখন প্রিয়জনের সাথে সবসময় কানেক্টেড থাকা হোক বা বন্ধুদের সাথে অনলাইনে সময় কাটানো হোক, সবকিছুই হবে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন।
ঈদের আনন্দকে বৃদ্ধি করতে আরও তিনটি বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে বাংলালিংক। সাশ্রয়ী কানেকশন নিশ্চিত করতে ১৮৮ টাকায় ৭ জিবির ১০ দিন-মেয়াদী ইন্টারনেট প্যাক নিয়ে আসা হয়েছে। সারাবছর জুড়ে কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী বান্ডেল নিয়ে আসা হয়েছে। এর আওতায় এবার, মাত্র ১,৮৯৯ টাকায় ১৫০ জিবি ইন্টারনেট অথবা, মাত্র ১,৯৯৯ টাকায় ৫০ জিবি ইন্টারনেট ও ১,০০০ মিনিট কলটাইম উপভোগ করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। এই দুইটি বান্ডেলের মেয়াদই ১ বছর। এছাড়া, মাত্র ৭১৯ টাকায় ৬০ জিবি (৩০ জিবি প্রতি মাসে) ও ১,১৯৯ টাকায় ১০০ জিবি (৫০ জিবি প্রতি মাসে) ইন্টারনেট দুইটি দুই মাসমেয়াদী ‘অ্যাডভান্সড প্ল্যান’ রয়েছে। পছন্দের মানুষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে, সবসময় তাদের কাছাকাছি থাকতে প্রতি মাসে সমানভাবে এই ডেটা প্রদান করা হবে।
যাদের দীর্ঘ কথোপকথন পছন্দ, তাদের জন্য সেহরি নাইট রেট কাটার ও রমজানে সর্বনিম্ন কলরেট নিয়ে আসার মাধ্যমে কথা বলাকে আরও সহজ করে তুলেছে বাংলালিংক। মাত্র ৯৪ টাকা রিচার্জে ব্যবহারকারীরা ৫ দিনের জন্য ১ পয়সা/সেকেন্ড কলরেট উপভোগ করতে পারবেন। আর ১৫৯ টাকা রিচার্জে এ সুবিধা ৩০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এছাড়া, রমজান স্পেশাল ফ্রি রেট কাটার অফার নিয়ে এসেছে বাংলালিংক; যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ৩ দিন মেয়াদে রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১ পয়সা/সেকেন্ডে কথা বলতে পারবেন। প্রিয়জনের সাথে ঈদের পরিকল্পনা ও কথোপকথনকে আরও আনন্দময় ও নিরবচ্ছিন্ন করতে এ অফার নিয়ে আসা হয়েছে। আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য গ্রাহকরা ১৭ টাকায় ২০ মিনিটের স্পেশাল ভয়েস প্যাক নিতে পারবেন, যা ২ দিন মেয়াদে রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কার্যকর হবে।
ঈদ মানে কেবল কথা বলাই নয়; এর সাথে জড়িয়ে আছে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া, প্রতিটি বিশেষ মুহূর্ত উপভোগ ও উদযাপন করা। পরিবারিক রিইউনিয়নের ছবি পোস্ট করা, ঈদের পোশাকের সেলফি শেয়ার করতে বাংলালিংকের আনলিমিটেড সোশ্যাল প্যাক যথার্থ সমাধান হতে পারে। গ্রাহকরা মাত্র ৩০ টাকায় ১ দিন বা ৫০ টাকায় ৩ দিন সারাদিন জুড়ে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন। যারা নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ চান তাদের জন্য ৩০ টাকায় ১ দিন বা ৫০ টাকায় ৩ দিনের ইমো, টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে আনলিমিটেড কলিং অফার নিয়ে এসেছে বাংলালিংক। পাশাপাশি, বিনোদনপ্রেমীদের দীর্ঘদিন পর স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সময় কাটাতে ও ঈদকে আরও প্রাণবন্ত ও আনন্দময় করতে ৩ দিনের জন্য ৫০ টাকায় বা ১ দিনের জন্য ৪০ টাকায় ইউটিউব ও টিকটকে আনলিমিটেড ভিডিও স্ট্রিমিং উপভোগ করার সুযোগও নিয়ে আসা হয়েছে।
যোগাযোগ, কথা বলা বা আনন্দ উদযাপন - যাই হোক না কেন, বাংলালিংক তাদের ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত রাখার সবরকম আয়োজনই করেছে; কাছাকাছি না থাকলেও যেন কল বা মেসেজের মাধ্যমে পছন্দের মানুষের পাশে সবসময় থাকা যায়। এই ঈদে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের মাঝে সেতুবন্ধন হয়ে উঠেছে বাংলালিংক; প্রতিটি মুহূর্তকে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটির মাধ্যমে উপভোগ্য করে তুলেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প র য়জন র স থ ন রবচ ছ ন ন অফ র ন য় ব যবহ র র জন য প রব ন পর ব র আনন দ উপভ গ সময় ক পছন দ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া
চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’
চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।