রংপুরের মিঠাপুকুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বন বিভাগের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ১৬ বছর ধরে জমিটি দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি জমি উদ্ধারে গেলে বন বিভাগের লোকজনকে হুমকিধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন ওই নেতা। 

চেংমারী ইউনিয়নের লোহাকুচি মৌজায় বন বিভাগের জমি রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান সৃজন করেছে বন বিভাগ। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এক হেক্টর জমির বাগানটির উপকারভোগী হিসেবে মামুদেরপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুলসহ তিনজনের নাম ছিল। ওই জমির মধ্যে ৯৯ শতক নিজের বলে দাবি করেন মুকুল। ২০১০ সালে তাঁর ছেলে হাসিবুল হাসান সিমন তা দখল করে নেন। সিমন বর্তমানে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। ১৬ বছর ধরে তিনি ও তাঁর পরিবার বন বিভাগের ওই সম্পত্তি দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুল আলম, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ কয়েকজন জানান, সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হাসান সিপন। এমপির প্রভাব খাটিয়ে এতদিন ধরে বন বিভাগের জমি দখলে রাখলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয়রা বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানান। কর্মকর্তারা তদন্ত করার জন্য ২০ মার্চ এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারা হাসিবুল হাসান সিমনকে জমিতে চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। তাদের কথা অমান্য করে সিপন পরদিন জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন। খবর পেয়ে হেলেঞ্চা বনবিট কর্মকর্তা জেহেসান আলম প্রহরীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবারও তাকে নিষেধ করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা বন বিভাগের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। 

এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হাসান সিমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তাঁর বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুলও কোনো মন্তব্য করেননি। 

হেলেঞ্চা বনবিটের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জেহেসান আলী বলেন, লোহাকুচি মৌজায় বন বিভাগের সরকারী গেজেটভুক্ত জমি রয়েছে। সেখানে ৯৯ শতক জমি মামুদেরপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল ও তাঁর ছেলে হাসিবুল হাসান সিমন দখল করে নিয়েছেন। বাধা দেওয়ায় আমাদের হুমকি দেন। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ স ব ল হ স ন স মন কর মকর ত ব দ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাড়ি ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্য থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে কর্ণফুলী থানার পক্ষ থেকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এই মাইকিং করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের একটি ছড়িয়ে পড়েছে।

১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে একটি কাগজ দেখে দেখে মাইকিং করছিলেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আসসালামু আলাইকুম, সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়; তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।’

মাইকিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাড়ি ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং
  • এক বন্ধুর স্ক্রিনশট আরেকজনকে পাঠাতে গিয়ে ভুলে সেই বন্ধুকেই পাঠিয়ে দিলে কী করবেন