পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটায়ও বড় ব্যবধানে হার মানল পাকিস্তান। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ওয়েলিংটনে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৮ রান তোলে। জবাব দিতে নেমে টিম সেইফার্ট ঝড়ে মাত্র ৬০ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে জয় নিশ্চিত করে নিউ জিল্যান্ড। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিলো কিউইরা।

মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করেন সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। পাওয়ার প্লে’তেই তারা দুজন তুলে ফেলেন বিনা উইকেটে ৯২ রান। এ সময় মাত্র ২৩ বলে ৫টি চার ও ৫ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন সেইফার্ট।

দলীয় ৯৩ রানের মাথায় অ্যালেন ফিরেন সুফিয়ান মুকিমের বলে বোল্ড হয়ে। মাত্র ১২ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করে যান তিনি। অ্যালেন বিদায় নিলেও থামেনি সেইফার্ট ঝড়। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৮ ওভারেই ১০০ রান পেরিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ১০৩ রানের মাথায় ওয়ান ডাউনে নামা মার্ক চ্যাপম্যানকেও ফেরান মুকিম। ৭ বল খেলে ৩ রান করে যান তিনি।

আরো পড়ুন:

‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিতে’ ২০২৭ পর্যন্ত দায়িত্বে সিমন্স

পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকায় তামিমকে স্থানান্তর

এরপর দশম ওভারে গিয়ে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। সেইফার্ট মাত্র ৩৮ বল খেলে ৬টি চার ও ১০ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ৩ রানের জন্য তিনি মিস করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

তার আগে বল হাতে পাকিস্তানকে দিশেহারা করেন জিমি নিশাম। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। জ্যাকব ডাফি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন বেন সিয়ার্স ও ইশ সোধি।

নিউ জিল্যান্ডের বোলিং তোপে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের মাত্র দুইজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে অধিনায়ক সালমান আলী আগা ৩৯ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন। আর শাদাব খান ২০ বলে ৫ চারে করেন ২৮ রান। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ১৩টি রান।

এছাড়া হাসান নাওয়াজ ০, ওমাইর ইউসুফ ৭, উসমান খান ৭, আব্দুল সামাদ ৪, জাহানদাদ খান ১, হারিস রউফ ৬*, সুফিয়ান মুকিম ০ ও মোহাম্মদ আলী করেন ০ রান।

মাত্র ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন নিশাম। আর মোট ২৪৯ রান করে সিরিজ সেরা হন সেইফার্ট।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ