গবেষণাপত্র জার্নালে প্রকাশের আগে করণীয়, অসমীচীন কর্মে লিপ্ত থাকলে যে যে বিপদ
Published: 27th, March 2025 GMT
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে জার্নাল আর্টিকেল বা গবেষণাপত্র প্রত্যাহার বা বাতিল হচ্ছে। এ প্রবণতা বিশ্বজুড়ে, তবে বিশেষ কিছু দেশের নাম অথবা বিশেষ কিছু দেশের বিশেষ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকদের নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। এভাবে প্রকাশিত হওয়া আর্টিকেল পুনর্মূল্যায়ন করে বাতিলের পেছনের মূল কারণ হচ্ছে গবেষকদের চরম মাত্রার অনিয়ম এবং রীতিবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ড। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেক পর্যালোচক/রিভিউয়ার তৈরি করে আর্টিকেল রিভিউ করানো (নাম ও পদবি ঠিক রেখে নিজেদের তৈরি করা নকল ই–মেইল প্রস্তাব করা), আগে থেকেই বিভিন্ন জার্নালের সম্পাদক/এডিটরদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে যৌথভাবে দ্রুত আর্টিকেল প্রকাশ করা, গবেষণার তথ্য-উপাত্ত জাল করা এবং ফিল্ডওয়ার্ক সঠিকভাবে না করা, তথ্য-উপাত্ত নিজের প্রয়োজন মতো সংযোজন, বিয়োজন এবং পরিমার্জন করা; তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের সময় অনিয়ম করা, নিয়মতান্ত্রিক এবং দলগতভাবে নিজের এবং অন্যের কাজকে বারবার উদ্ধৃতি/সাইটেশন করা, অর্থ বা অন্য কোনো প্রণোদনার বিনিময়ে কাউকে সহ-লেখকত্ব দেওয়া; এবং প্রভাব ও জ্যেষ্ঠতা বিস্তার করে আর্টিকেলে নিজের নাম সংযোজন করা ইত্যাদি। এ রকম নানা কারণে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠিত গবেষকের আর্টিকেল বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
এ ধরনের অসমীচীন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলে আপনি নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, যেমন আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, অন্যায় অপরাধের কারণে আপনাকে আদালতে যেতে হতে পারে, আপনার অন্যান্য সহলেখকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বড় অঙ্কের অর্থদণ্ড হতে পারে, ভবিষ্যতে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আর চাকরি না হওয়া, বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোতে, এবং সর্বোপরি নিজের মর্যাদা এবং সুখ্যাতির চরম ক্ষতিসাধন এবং অবমাননা হতে পারে। এর চেয়েও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে আপনার সঙ্গো গবেষণাকর্মে লিপ্ত থাকা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা, যারা সবেমাত্র গবেষণার জগতে হাতেখড়ি দিয়েছে এবং যাদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গবেষণা-সংশ্লিষ্ট রীতিনীতি, পলিটিকস এবং এথিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কোনো ধারণাই নেই।
বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করে থাকেন, তাঁদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস থেকে একটি ভালো মানের জার্নাল আর্টিকেল পাবলিশ করার, এর ফলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ বা ফান্ডিং পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে; কিন্তু শুরুতেই যদি তাঁদের নাম এবং গবেষণাকর্ম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যায়, তবে তারা এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাঁদের বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা যেমন মাস্টার্স, পিএইচডি বা পোস্টডক করা থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা বা গবেষকের চাকরি এমনকি নন-একাডেমিক কিংবা ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা চরম মাত্রায় হুমকির মুখে পড়তে পারে। যারা গবেষণার জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে চান, এবং ভবিষ্যতে একজন প্রতিষ্ঠিত গবেষক কিংবা বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাঁদের গবেষণাপত্র জার্নালে প্রকাশ করার আগে করণীয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের আয়ারল্যান্ডে ক্যারিয়ারের সুযোগ, পরীক্ষা তিনটিআয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, যেভাবে মিলবে সুযোগফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ট ক ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঘাস খেতে খেতে সীমান্তের ওপারে ১০ গরু, ফেরত দিল বিএসএফ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া ১০টি গরু আটক করেছিল বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গরুগুলো বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হয়। রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে গরুগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে আখাউড়ার কালিকাপুর এলাকায় কাঁটাতারের কাছাকাছি ঘাস খাওয়ানোর জন্য স্থানীয়রা গরু চড়ান। এসময় কয়েকটি গরু ঘাস খেতে খেতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অংশে ঢুকে পড়ে। পরে বিএসএফ সদস্যরা ১০টি গরু ধরে নিয়ে গিয়ে কাঁটাতারের কাছে বেঁধে রাখেন। স্থানীয়রা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করলে গরুগুলো ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘শূন্য রেখার কাছে গরু চড়ানোর কারণে সম্প্রতি প্রায়ই গরু ভারতের অংশে ঢুকে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। আজ কিছু গরু ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ায় বিএসএফ তা আটক করেছিল। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গরুগুলো ফেরত আনা হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে আরো ২৩ জনেকে ঠেলে দিল বিএসএফ
চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
ঢাকা/পলাশ/রাজীব