ওসাসুনার বিপক্ষে বার্সার খেলার কথা ছিল গত ৮ মার্চ। সেদিন কাতালান দলটির চিকিৎসক মারা যাওয়ায় স্থগিত করা হয় ম্যাচটি। নতুন সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ধকল কাটিয়ে উঠতেই এই ম্যাচ খেলতে চায়নি কাতালান জায়ান্টরা। ওসাসুনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েও তাই অসন্তোষ বার্সা ম্যানেজার হান্সি ফ্লিক।
বার্সেলোনা কোচ ফ্লিকের দাবি, তার দল বড় ব্যবধানে ওসাসুনাকে হারালেও ‘চওড়া মূল্য’ দিতে হয়েছে। কারণ তাদের মিডফিল্ডার দানি ওলমো চোটে পড়েছেন। ঠিক এই কারণেই তারা ম্যাচটা বৃহস্পতিবার খেলতে চাচ্ছিল না। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভ্রমণ এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ম্যাচ খেলার একটা ধকল থাকে ফুটবলারদের। কিছুটা বিশ্রাম না নিয়ে পুনরায় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামলে চোটের ঝুঁকি থাকেই।
আরো পড়ুন:
৭২ ঘণ্টার বিশ্রাম ছাড়া ম্যাচ খেলতে নামবে না রিয়াল
শীর্ষে উঠার সুযোগ হারাল অ্যাতলেটিকো
ঘরের মাঠ স্তাদিও অলিম্পিক লুইসে বার্সা সহজ জয় পায়। ম্যাচের ১১ মিনিটেই অ্যালেক্স বালদের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ফেরান তোরেস। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ওসাসুনা গোলরক্ষক হেরেরা ডি বক্সের ভেতরে ফাউল করেন ওলমোকে। দুবারের নাটকীয়তায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন ওলমো নিজেই। বিরতির আগে আর কোন গোল হয়নি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ফারমিন লোপেজের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তবে এই বড় জয়টি ওলমোর চোটে ম্লান হয়ে যায়।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেন, “আজ আমরা আমাদের যা ছিল (ফুটবলার), তার সেরা ব্যবহার করেছি। এই তারিখটি ম্যাচটি খেলার জন্য উপযুক্ত ছিল না। আন্তর্জাতিক বিরতির পরে এত দ্রুত খেলা ভাল না। আমরা তিন পয়েন্ট পেলাম, কিন্তু ডানির চোটের জন্য আমরা খুব বড় একটি মূল্য দিয়েছি, এটা ভাল নয়।”
জানা গেছে, ওলমোর আজ কিছু শারীরিক পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, এই ২৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে পারেন। ফ্লিক বলেন, “আমরা জানি না তিনি কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন। যদি দুই সপ্তাহ হয়, তবে অনেক ম্যাচ মিস হবে। তিন সপ্তাহ হলে আরও বেশি। তিন পয়েন্টের জন্য মূল্যটা অনেক বড় ছিল।”
শুধু ওমলোর চোটে ফ্লিক বিরক্ত না। এই ম্যাচটা জার্মান কোচকে খেলতে হয়েছে রাফিনহাকে ছাড়া। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছিলেন। তাই ওসাসুনার বিপক্ষে খেলার আগে যথেষ্ঠ বিশ্রাম পাননি। অন্যদিকে ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউজোও জাতীয় দল উরুগুয়ের দায়িত্ব থেকে বুধবার ফিরে আসায় মাঠে নামেননি।
লা লিগায় ২৮ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। তিনে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরেই আছে ওসাসুনা।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ল কর ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।