রুপালি রঙের মেইন কুন প্রজাতির বিড়ালটির লেজের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৫ ইঞ্চি। এই প্রজাতির জীবন্ত কোনো বিড়ালের লেজ তার মতো এতটা লম্বা নেই। তাই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে বিড়ালটি।
বিড়ালটির মালিক আমান্ডা ক্যামেরন বলেন, তাঁর পরিবারের এই বিড়ালের বয়স দুই বছর। এটির নাম দেওয়া হয়েছে পাগস্লে অ্যাডামস। জন্মের শুরু থেকেই তার লেজ তুলনামূলক লম্বা। পশুচিকিৎসকের কাছে তাকে প্রথম নিয়ে যাওয়া হলে তার লম্বা লেজের বিষয়টি উঠে আসে।
ক্যামেরন বলেন, আবার ছয় মাস পর পশুচিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে পাগস্লের লেজের বিষয়টি উঠে আসে। তখন তাঁর ছেলে এই বিড়ালের লেজ নিয়ে উৎসাহী হয়ে গবেষণা শুরু করেন। জীবন্ত বিড়ালের লেজের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য কত, তা নিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে খোঁজখবর করা হয়।
ক্যামেরন বলেন, ‘নানাভাবে খোঁজখবর নিয়ে আমরা যা জানলাম, তা আমাদের বড় ধাক্কা দিল। পাগস্লের লেজ সবার চেয়ে লম্বা।’
ক্যামেরন বলেন, পাগস্লে এমনিতে যে কারও সঙ্গে মিশে যেতে পারে এবং সে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন।
ক্যামেরন বলেন, ‘সবাই তাকে দেখতে চায়। তার শান্ত আচরণের কারণে সবাই তাকে আদর করে। প্রাণী হলেও তার কাণ্ডজ্ঞান বেশ ভালোই বলতে হবে। এমনকি যেকোনো নতুন পরিস্থিতিতে সে অন্য বিড়ালদের জন্য ভীতি সৃষ্টির কারণ হতে পারে।’
বিড়ালটির এই মালিক আরও বলেন, পাগস্লে বেশ নরম প্রকৃতির এবং সব সময় সে শব্দ করে। সবকিছু মিলিয়ে সে দারুণ এক প্রাণী। প্রায়ই আমরা যখন তাকে নিয়ে বাইরে যাই, তখন সবাই তাকে ‘লোকাল সেলেব্রিটি’ বলে ডাকে।
পাগস্লে যখন বাড়িতে তার ক্যাট ট্রিতে চড়ে বা তার বিড়াল বোন উইনি ও ডাচেস এবং ভাই গোমেজের সঙ্গে খেলা করে, তখনো সে নিজের অনন্য লেজের বিষয়ে সচেতন থাকে।
ক্যামেরন বলছিলেন, পাগস্লের বয়স মাত্র দুই বছর। সে এখনো বড় হচ্ছে। কিন্তু এই সময়েও নিজের লেজ নিয়ে সে খুবই সচেতন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও
দুপুরবেলা বিদ্যালয়ে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এরপর শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপে মেতে ওঠেন তিনি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক নানা প্রশ্নোত্তরে জমে ওঠে সেই আলাপ। গতকাল রোববার কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় দেখা যায় এমন চিত্র।
গতকাল দুপুরে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবীবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজেশ কান্তি কানু, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জুনায়েদ, সৈয়দ নুর, আমানুল্লাহ, রবিউল আলম প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের মাঠ, বিদ্যমান ভবন, নির্মাণাধীন একটি ভবন ঘুরে দেখেন শেখ এহসান উদ্দিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার সরঞ্জাম এবং বিদ্যালয়ের জন্য অনুদানের আশ্বাস দেন তিনি।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নাফ নদীর তীর–সংলগ্ন দমদমিয়ার গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২০ সাল থেকে আলোর পাঠশালাটি পরিচালনা করে আসছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জনের মতো।
বিদ্যালয়টি পরিদর্শনের সময় ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে দমদমিয়া আলোর পাঠশালা। প্রথম আলো ট্রাস্টের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।