ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে গাড়ি, প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তি
Published: 29th, March 2025 GMT
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বলদাখাল থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। যানজট না থাকলেও ধীরগতিতে চলছে গাড়ি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘরমুখী মানুষ স্বস্তির পরিবর্তে কিছুটা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবেশপথ ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মেঘনা–গোমতী সেতু এলাকা। এই মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ নিয়মিত ঘরে ফেরেন। মহাসড়কের গৌরীপুর থেকে মেঘনা–গোমতী সেতু এলাকা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে নিত্যদিনের যানজটের ভোগান্তি থাকে। ঈদের সময় আরও বেড়ে যায়। এবার ঈদকে সামনে রেখে দাউদকান্দির ২০ কিলোমিটার অংশে (ইলিয়টগঞ্জ থেকে মেঘনা–গোমতী সেতু) যানজট নিরসনে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা গৌরীপুরের স্থাপনাগুলো উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অপসারণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, হাইওয়ে থানা–পুলিশ, মডেল থানা–পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, নিরাপদ সড়ক চাই–এর সদস্যরা একযোগে মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। কিন্তু তারপরও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি।
লোকাল মাইক্রোবাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো দফায় দফায় মহাসড়কেই স্ট্যান্ড গড়ে তুলছে। পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাসগুলো মহাসড়কের ঢাকা–হোমনা সড়কের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে, এ কারণেই যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজটের তৈরি হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টায় কথা হয় দাউদকান্দির পেন্নাই বাজারের ফল ব্যবসায়ী সুমন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ফল নিয়ে সকাল সাতটায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ঢাকা–হোমনা সুপার সার্ভিসের বাসে ওঠেন। দাউদকান্দির মেঘনা–গোমতী সেতু থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। বাসের চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তির মধ্যেই প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তি কাজ করছে।
সকাল ১০টায় মহাসড়কের স্বল্পপেন্নাই এলাকায় কথা হয় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার চাকরিজীবী মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে রওনা দেন। সকাল আটটায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে ওঠেন। ৫০ মিনিটের মহাসড়ক দুই ঘণ্টায় অতিক্রম করেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ য নজট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।