যুব নেতৃত্বাধীন অলাভজনক, সৃজনশীল, মানবকল্যানমুখী, অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজ উন্নয়নমূলক সংগঠন চেঞ্জ ফাউন্ডেশন ও "পরিবর্তন" সমাজকল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যয় আসন্ন ঈদে "ঈদ সামগ্রী উপহার-২০২৫" বিতরণ সম্পন্ন করেছে।

রবিবার ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন মধ্যবিত্তদের মাঝে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। এসময় সুবিধা বঞ্চিতদের বাসায় যেয়ে ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দেন সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।                                                                                 

এক প্রতিক্রিয়ায় চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের সভাপতি লুতফর রহমান মুন্না বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি একটা পরিবারের ঈদের সারাদিনের খাবার উপহার হিসেবে প্রদান করতে। বিগত বছরগুলোর মত ভবিষ্যতেও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।   

আরেক প্রতিক্রিয়ায় "পরিবর্তন" সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারন সম্পাদক মোঃ এ এইচ আশু বলেন, যে সকল পরিবার অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারে না, এমন ১০০ পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী প্রদান করেছি।

পাশাপাশি আমাদের সদস্যদের যাকাত ফান্ড থেকে ফতুল্লা ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের পয়ঃনিষ্কাশনের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও ছিন্নমুল পরিবারের মাঝে নগদ ২১,০০০ টাকা প্রদান করেছি।

ঈদ উপহার হিসেবে পোলাও চাল, মুগ ডাল, সয়াবিন তেল, ২ ধরনের সেমাই, চিনি, দুধ প্রদান করা হয়।

ই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের সভাপতি লুতফর রহমান মুন্না, সহ-সভাপতি এ্যডঃ মাহবুবুল হক ফোরকান, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন জুম্মন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রনী শিকদার,  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সালাহ উদ্দিন হৃদয়, দপ্তর সম্পাদক মাওঃ সাব্বির আহমাদ তুহিন, নির্বাহী সদস্য মোঃ রমজান আলী। "পরিবর্তন" সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি তালুকদার আবদুল্লাহ আল ফারুক রিংকু, সাধারন সম্পাদক মোঃ এ এইচ আশু, অর্থ সম্পাদক মোঃ আল-আমীন আলী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তুষার প্রমুখ।       

উল্লেখ্য চেঞ্জ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন পেশাজীবীদের দ্বারা ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের ব্যাতিক্রমভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি মেডিক্যাল ক্যাম্প করা, মাদ্রাসায় কার্পেট প্রদান, সেহেরি-ইফতার সামগ্রী বিতরণ, শীতার্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ উপহার প্রদান, অর্থনৈতিক সহযোগীতার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ পর ব র উপহ র ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে লিওনেল মেসি ও তার দল ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা), মায়ামির চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দর্শকদের উপহার দেওয়া হয় গোল, নাটক এবং ৩২টি ফাউলের নাটকীয় এক সন্ধ্যা।

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জয় পেয়ে আগেই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভ্যানকুভার। তাই দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মায়ামির জন্য লক্ষ্যটা ছিল বেশ কঠিন, কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য অধরাই থেকে গেল। উল্টো ৩-১ গোলের হার সইতে হলো ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে উড়েই ফাইনালে উঠে যায় কানাডার ক্লাবটি।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির জন্য আশা জাগানিয়া ছিল। নবম মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের দারুণ কম্বিনেশনের ফসল হিসেবে জর্ডি আলবা গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলের লিডে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।

আরো পড়ুন:

দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় মেসিরা

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান পেদ্রো ভিতে। এরপর ম্যাচে ফিরে আসার অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মেসির দল।

৭১ মিনিটে ভ্যানকুভারের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন সেবাস্তিয়ান বারহেল্টার। যা ম্যাচের নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ইন্টার মায়ামি একাধিকবার আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও শক্ত রক্ষণদেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয়।

ম্যাচটিতে দুই দলই ১৬টি করে ফাউল করে। যা মিলিয়ে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল অন টার্গেটে এবং মাত্র একটিই জালে ঠাঁই পায়। অন্যদিকে, ভ্যানকুভারের ১০টি শটের ৬টিই লক্ষ্যে ছিল এবং এর মধ্যে তিনটি জালে জড়ায়।

এই হারের ফলে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলো মেসি-সুয়ারেজদের। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট কাটলো ভ্যানকুভার এফসি।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ