রাজধানীতে ‘ঈদ বকশিশের’ নামে বাড়তি ভাড়া আদায়
Published: 30th, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটির দিন গত ২৭ মার্চ থেকে ‘ঈদ বকশিশের’ নামে রাজধানীতে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে চলাচলকারী গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহনে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ, মিরপুর, গাবতলী—যেখান থেকেই যাত্রীরা উঠুক না কেন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। দিতে না চাইলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
অন্যদিকে, বাসচালক ও সহকারীদের দাবি, ঈদ উপলক্ষে এ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এটাকে ‘ঈদ বোনাস’ বলছেন তারা।
‘রজনীগন্ধা’ পরিবহনের বাসের যাত্রী ফোরকান হোসেন বলেন, ‘‘ঈদের সরকারি ছুটি হওয়ার দিন থেকেই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আজও জোর করে বেশি ভাড়া আদায় করেছে আমার কাছ থেকে। রায়েরবাগ থেকে গুলিস্তান রুটে ২০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা।’’
এগুলো দেখার কেউ নেই? প্রশ্ন রেখে ফোরকান বলেন, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পরিবহন সেক্টরে জিম্মি। অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে রজনীগন্ধা পরিবহনের সুপারভাইজার লতিফ হোসেন বলেন, বাসের মালিক তো আমাদের বোনাস দেয় না। কী আর করব? যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বোনাস নিচ্ছি। ঈদের পরের দিন থেকে বোনাস নেব না।
গাবতলী থেকে ‘সাভার’ পরিবহনে গুলিস্তান এসেছেন বাশার হোসেন। তিনি বলেন, ৩০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি অল্প আয়ের মানুষ। নিজেই বোনাস পাই নাই। বাসে প্রতিদিন যতবার উঠেছি ততবার বোনাস দিতে হয়েছে।
মিল্লাত নামে আরেক যাত্রী বলেন, বাসে উঠলে আর নামলেই ১০ টাকা ভাড়া। এখন দিতে হচ্ছে ২০ টাকা করে।
‘ভিক্টর’ পরিবহনে আব্দুস সোবাহান নামে আরেক যাত্রী বলেন, ওরা সবাই এক সিন্ডিকেটের লোক। ঈদ বোনাস না দিলে তো কেউ যেতে পারব না। বাধ্য হয়েই এই বাড়তি ভাড়া দিচ্ছি।
ফুলবাড়িয়া কন্ট্রোল রুম এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বিপুল বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না। শ্রমিকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে- এমন কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএএম//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট