ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। একক নাটক, চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে সাজানো হয়েছে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান। আজ বুধবার ঈদের দ্বিতীয় দিন বিটিভি, এটিএন বাংলা এবং চ্যানেল আইয়ে কী কী আয়োজন থাকছে, তা নিয়ে বিনোদনের বিশেষ এই আয়োজন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন
সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ‘নতুন ভোর’। দুপুর ১২টায় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মায়াজাল’। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ‘শহীদের রক্ত স্বাক্ষর’ (পর্ব-০৩)। বেলা ১টায় আঞ্চলিক গানের অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দ্বৈত সংগীতানুষ্ঠান, শিল্পী: রিজিয়া পারভীন ও মনির খান। বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে নৃত্যানুষ্ঠান।

সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ‘তারকাদের আড্ডা’। সন্ধ্যা ৭টায় আধ্যাত্মিক গানের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ‘ছায়াছন্দ’। রাত ৯টায় বিশেষ নাটক। রাত ১০টায় বিশিষ্টজনদের ঈদ আড্ডা। রাত ১১টা ৫ মিনিটে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। শিল্পী: ন্যান্‌সি। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে দ্বৈত সংগীতানুষ্ঠান, শিল্পী: রবি চৌধুরী ও মনির খান।

এটিএন বাংলা

সকাল ৮টায় প্রভাতি অনুষ্ঠান ‘চায়ের চুমুকে’। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ছোটদের অনুষ্ঠান ‘সবার জন্য ঈদ’। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে কমেডি শো ‘হাউস নাম্বার ৪২০’। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশেষ নাটক ‘বিসিএস-২’। অভিনয়ে শামীম সরকার, সামান্তা পারভেজ। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বিশেষ নাটক ‘শেষটা তুমি’। অভিনয়ে মুশফিক আর ফারহান, স্পর্শিয়া। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে বিশেষ নাটক বিয়ে টিয়ে। অভিনয়ে নিলয়, সাফা কবির। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মিউজিক্যাল শো ‘মিউজিক টাইম’। রাত ১১টায় বিশেষ টেলিফিল্ম ‘বিটুইন আস’। অভিনয়ে শামীম সরকার, অনিন্দিতা মিমি, মনিরা মিঠু।

চ্যানেল আই

বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘ফায়ার ফাইটার’। অভিনয়ে ইরফান সাজ্জাদ, তাসনিয়া ফারিণ। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘অগ্নিশিখা’। অভিনয়ে ইয়াশ রোহান, তটিনী। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিক মিশন মুন্সিগঞ্জ। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে নাটক ইতির ঈদি। অভিনয়ে জোভান, কেয়া পায়েল। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে নাটক টোনাটুনির সংসার। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ষ ন টক র অন ষ ঠ ন ৩০ ম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ