ইরফানের ‘ফায়ার ফাইটার’, শামীম সরকারের ‘বিসিএস-২’
Published: 2nd, April 2025 GMT
ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। একক নাটক, চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে সাজানো হয়েছে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান। আজ বুধবার ঈদের দ্বিতীয় দিন বিটিভি, এটিএন বাংলা এবং চ্যানেল আইয়ে কী কী আয়োজন থাকছে, তা নিয়ে বিনোদনের বিশেষ এই আয়োজন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন
সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ‘নতুন ভোর’। দুপুর ১২টায় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মায়াজাল’। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ‘শহীদের রক্ত স্বাক্ষর’ (পর্ব-০৩)। বেলা ১টায় আঞ্চলিক গানের অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দ্বৈত সংগীতানুষ্ঠান, শিল্পী: রিজিয়া পারভীন ও মনির খান। বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে নৃত্যানুষ্ঠান।
সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ‘তারকাদের আড্ডা’। সন্ধ্যা ৭টায় আধ্যাত্মিক গানের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ‘ছায়াছন্দ’। রাত ৯টায় বিশেষ নাটক। রাত ১০টায় বিশিষ্টজনদের ঈদ আড্ডা। রাত ১১টা ৫ মিনিটে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। শিল্পী: ন্যান্সি। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে দ্বৈত সংগীতানুষ্ঠান, শিল্পী: রবি চৌধুরী ও মনির খান।
এটিএন বাংলা
সকাল ৮টায় প্রভাতি অনুষ্ঠান ‘চায়ের চুমুকে’। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ছোটদের অনুষ্ঠান ‘সবার জন্য ঈদ’। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে কমেডি শো ‘হাউস নাম্বার ৪২০’। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশেষ নাটক ‘বিসিএস-২’। অভিনয়ে শামীম সরকার, সামান্তা পারভেজ। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বিশেষ নাটক ‘শেষটা তুমি’। অভিনয়ে মুশফিক আর ফারহান, স্পর্শিয়া। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে বিশেষ নাটক বিয়ে টিয়ে। অভিনয়ে নিলয়, সাফা কবির। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মিউজিক্যাল শো ‘মিউজিক টাইম’। রাত ১১টায় বিশেষ টেলিফিল্ম ‘বিটুইন আস’। অভিনয়ে শামীম সরকার, অনিন্দিতা মিমি, মনিরা মিঠু।
চ্যানেল আই
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘ফায়ার ফাইটার’। অভিনয়ে ইরফান সাজ্জাদ, তাসনিয়া ফারিণ। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘অগ্নিশিখা’। অভিনয়ে ইয়াশ রোহান, তটিনী। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিক মিশন মুন্সিগঞ্জ। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে নাটক ইতির ঈদি। অভিনয়ে জোভান, কেয়া পায়েল। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে নাটক টোনাটুনির সংসার। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ষ ন টক র অন ষ ঠ ন ৩০ ম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।